বাঁকুড়া: রবিবার ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। জেলায়-জেলায় কোথাও গাছ লাগিয়ে, কোথাও নোংরা-আবর্জনা পরিষ্কার করে দিনটি পালন করা হয়। তবে বাঁকুড়ায় গাছ লাগানো দুরস্থান, সরকারি জমিতে থাকা জঙ্গলের গাছ কেটে পাচারের চেষ্টা চালিয়েছিল দুস্কৃতীরা। তবে বহু গাছ কেটে ফেললেও গ্রামবাসীদের বাধায় শেষ পর্যন্ত কাঠ পাচারে সমর্থ হল না তারা। পরে খবর পেয়ে এলাকা থেকে কাঠগুলি বাজেয়াপ্ত করে বন দফতর। ঘটনা বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানার মানগ্রাম এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশ-বারো আগে বড়জোড়া ব্লকের মানগ্রাম থেকে ভৈরবপুর যাওয়ার রাস্তার পাশে ডিভিসির ক্যানেল পাড়ের সরকারি জায়গায় সোনাঝুরি ও ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানো হয়েছিল। স্থানীয়দের দাবি স্থানীয়দের সহযোগিতায় সরকারি ভাবে ওই গাছ লাগানো হয়েছিল। স্থানীয়রাই ওই গাছ রক্ষণাবেক্ষণ করতেন। গতকাল দুপুরে আচমকাই কিছু লোক আধুনিক করাত নিয়ে একের পর এক গাছ কাটতে শুরু করলে এলাকার মানুষের সন্দেহ হয়। খোঁজ খবর নিয়ে গ্রামবাসীরা জানতে পারেন সরকারি ভাবে ওই গাছ কাটা হচ্ছে না। ওই গাছ কাটার পিছনে পাচারকারীরা রয়েছে। এরপরই গাছ বাঁচাতে স্থানীয়রা দুষ্কৃতীদের বাধা দেয়। স্থানীয়দের দাবি দিনভর স্থানীয়দের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে বহু গাছ কেটে ফেলে দুষ্কতীরা।
এই পরিস্থিতিতে গাছ পাচার রুখতে শেষ পর্যন্ত স্থানীয়রা বন দফতর ও স্থানীয় বড়জোড়া থানার দ্বারস্থ হন। এরপরই বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। পরে বন কর্মীরা কেটে ফেলা গাছ উদ্ধার করে। এক এলাকাবাসী বলেন, ‘আমরা এই গাছগুলি পনেরো বছর আগে লাগিয়েছিলাম। কিন্তু আজকে গ্রামের কয়েকজন লোক ওই গাছগুলি কেটে দিচ্ছে। গাছগুলির প্রচুর টাকা দাম। ওদের হাতে গাছকাটার মেশিন ছিল। বারণ করলেও শুনছে না। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। আমি উদ্যোগ নিয়ে গ্রামের মানুষকে ডাকি তারপর বাধা দিই।’