বাঁকুড়া: রবিবার প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে বাঁকুড়ায় (Bankura) ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফসলের। বিঘের পর বিঘে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে এলাকার সাধারণ কৃষকদের। তবে শুধু ফসলেরই ক্ষতি হয়েছে এমনটা নয়, পাশাপাশি রবিবারের শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে এলাকার বহু বাড়ির টিন, অ্যজবেস্টাস,টালি ও খড়ের চালের।
গতকাল সন্ধ্যেবেলা ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায় বাঁকুড়ার কোতুলপুরের আকাশ। কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হয় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। বেশ কিছুক্ষণ ধরে লাগাতার শিলাবৃষ্টিও হয়। এরপর শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের সাঁড়াশি প্রভাবে কার্যত মাটিতে শুয়ে পড়ে বিঘের পর বিঘে জমির বোরো ধান। গ্রীষ্মকালীন সবজি গাছ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। এমনিতেই চলতি বছর আলুর দাম না পাওয়ায় চূড়ান্ত লোকসান হয়েছে এলাকার কৃষকদের।
বোরো ধান ও গ্রীষ্মকালীন সবজি তুলে সেই লোকসানের বহর কিছুটা পূরণের আশা করেছিলেন কৃষকরা। কিন্তু মাঝপথে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির জেরে বোরো ধান ও গ্রীষ্মকালীন সবজি পুরোপুরি নষ্ট হতে বসায় এখন মাথায় হাত পড়েছে কোতুলপুর ব্লকের অধিকাংশ কৃষকের। কৃষকদের একটা বড় অংশের দাবি এভাবে একের পর এক লোকসানের পর আর কোনওভাবেই ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। এলাকার দিশেহারা কৃষকরা এখন তাকিয়ে রয়েছেন সরকারি ক্ষতিপূরণের প্রত্যাশায়।
এলাকা পরিদর্শনে আসা এক কৃষি আধিকারিকরা বলেন, “এখন মাঠে বোরো ধানের চাষ হচ্ছে। এই এলাকায় বোরো ধানের চাষ বেশি হয়। শিলাবৃষ্টির জেরে ফসলের খুব ক্ষতি হয়েছে। আমরা কৃষি দফতরের আধিকারিকরা সকাল থেকেই এলাকা পরিদর্শন করছি। তারপর কতটা ক্ষতি হয়েছে খতিয়ে দেখব। তার উপর ভিত্তি করে পরিসংখ্যান জমা দেব।”