Bankura University: ক্লাস পিছু ৩০০ টাকা, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে জোর বিতর্ক

Hirak Mukherjee | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 28, 2023 | 4:52 PM

Bankura University: গত ২৪ মার্চ বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ অস্থায়ী ভিত্তিতে স্পেশাল লেকচারার নিয়োগ করতে চায়।

Follow Us

বাঁকুড়া: মাত্র তিনশো টাকা প্রতি ক্লাস ভিত্তিতে অস্থায়ী স্পেশাল লেকচারার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়। আর তাতেই তুমুল সমালোচনার ঝড়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দিন কয়েক আগেই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের শিক্ষক হিসাবে ব্যবহারের চেষ্টা করায় তুমুল সমালোচনায় পড়েছিল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। এবার সামান্য বেতনে উচ্চ শিক্ষিতদের অস্থায়ী স্পেশাল লেকচারার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সমালোচনার মুখে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়। গত ২৪ মার্চ বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ অস্থায়ী ভিত্তিতে স্পেশাল লেকচারার নিয়োগ করতে চায়। এই পদের জন্য কমপক্ষে শিক্ষাগত যোগ্যতা দেওয়া হয়েছে মাস্টার ডিগ্রি। সঙ্গে নেট কোয়ালিফায়েড অথবা পিএইচডি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ওয়াক ইন ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ করা এই অস্থায়ী স্পেশ্যাল লেকচারাররা সপ্তাহে সর্বাধিক চারটি ক্লাস করতে পারবেন। প্রতিটি ক্লাসের জন্য স্পেশাল লেকচারারদের তিনশো টাকা দেওয়া হবে। অর্থাৎ সারা মাসে সর্বাধিক ১৬ টি ক্লাস করতে পারবেন ওই স্পেশাল লেকচারাররা। এর অর্থ এই লেকাচারাররা সর্বাধিক মাসে ৪৮০০ টাকা পাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। যেখানে একজন শ্রমিকের দৈনিক বেতন ৫০০ টাকা, সেখানে একজন মাস্টারডিগ্রি, পিএইচ ডি অথবা নেট কোয়ালিফায়েডকে কি ওই সামান্য টাকায় কাজ করানো যায়? প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল। এ প্রসঙ্গে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৌরভ দত্ত সাংবাদিকদের সামনে কিছুই বলতে চাননি। তিনি বলেন, “এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা না বলে কিছুই বলতে পারব না।”

তবে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসার পরই যাদবপুরের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। তিনি লেখেন, “ইউজিসি বিজ্ঞপ্তি, অতিথি শিক্ষকদের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি ঘন্টা ক্লাসের সাম্মানিক ১৫০০ টাকা।” সেখানে দাঁড়িয়ে কীভাবে ৩০০ টাকা? তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আর বাড়ছে বিতর্কও।

অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র বলেন, “বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক সপ্তাহে চারটি ক্লাস। প্রতি ক্লাসে ৩০০ টাকা করে পাবেন অতিথি অধ্যাপকরা। এটা ইউজিসি-র গাইডলাইনকে অমান্য করে। যাঁরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত, তাঁদের ঘণ্টায় ৩০০টাকা, এটা তো অপমান।”

কিছু দিন আগেই বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলগুলির পড়ুয়াদের জন্য কমিউনিটি পুলিশিং-এর অঙ্গ হিসেবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়। কড়া ভাষায় তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। কেন দফতরকে না জানিয়ে স্থানীয় স্তরে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের থেকে রিপোর্ট চায় শিক্ষা দফতর। রাতারাতি অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত বদলও করা হয়। তার রেশ কাটার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি এখন উল্কাগতিতে ছড়াচ্ছে বিতর্ক।

বাঁকুড়া: মাত্র তিনশো টাকা প্রতি ক্লাস ভিত্তিতে অস্থায়ী স্পেশাল লেকচারার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়। আর তাতেই তুমুল সমালোচনার ঝড়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দিন কয়েক আগেই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের শিক্ষক হিসাবে ব্যবহারের চেষ্টা করায় তুমুল সমালোচনায় পড়েছিল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। এবার সামান্য বেতনে উচ্চ শিক্ষিতদের অস্থায়ী স্পেশাল লেকচারার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সমালোচনার মুখে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়। গত ২৪ মার্চ বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ অস্থায়ী ভিত্তিতে স্পেশাল লেকচারার নিয়োগ করতে চায়। এই পদের জন্য কমপক্ষে শিক্ষাগত যোগ্যতা দেওয়া হয়েছে মাস্টার ডিগ্রি। সঙ্গে নেট কোয়ালিফায়েড অথবা পিএইচডি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ওয়াক ইন ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ করা এই অস্থায়ী স্পেশ্যাল লেকচারাররা সপ্তাহে সর্বাধিক চারটি ক্লাস করতে পারবেন। প্রতিটি ক্লাসের জন্য স্পেশাল লেকচারারদের তিনশো টাকা দেওয়া হবে। অর্থাৎ সারা মাসে সর্বাধিক ১৬ টি ক্লাস করতে পারবেন ওই স্পেশাল লেকচারাররা। এর অর্থ এই লেকাচারাররা সর্বাধিক মাসে ৪৮০০ টাকা পাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। যেখানে একজন শ্রমিকের দৈনিক বেতন ৫০০ টাকা, সেখানে একজন মাস্টারডিগ্রি, পিএইচ ডি অথবা নেট কোয়ালিফায়েডকে কি ওই সামান্য টাকায় কাজ করানো যায়? প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল। এ প্রসঙ্গে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৌরভ দত্ত সাংবাদিকদের সামনে কিছুই বলতে চাননি। তিনি বলেন, “এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা না বলে কিছুই বলতে পারব না।”

তবে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসার পরই যাদবপুরের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। তিনি লেখেন, “ইউজিসি বিজ্ঞপ্তি, অতিথি শিক্ষকদের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি ঘন্টা ক্লাসের সাম্মানিক ১৫০০ টাকা।” সেখানে দাঁড়িয়ে কীভাবে ৩০০ টাকা? তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আর বাড়ছে বিতর্কও।

অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র বলেন, “বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক সপ্তাহে চারটি ক্লাস। প্রতি ক্লাসে ৩০০ টাকা করে পাবেন অতিথি অধ্যাপকরা। এটা ইউজিসি-র গাইডলাইনকে অমান্য করে। যাঁরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত, তাঁদের ঘণ্টায় ৩০০টাকা, এটা তো অপমান।”

কিছু দিন আগেই বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলগুলির পড়ুয়াদের জন্য কমিউনিটি পুলিশিং-এর অঙ্গ হিসেবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়। কড়া ভাষায় তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। কেন দফতরকে না জানিয়ে স্থানীয় স্তরে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের থেকে রিপোর্ট চায় শিক্ষা দফতর। রাতারাতি অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত বদলও করা হয়। তার রেশ কাটার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি এখন উল্কাগতিতে ছড়াচ্ছে বিতর্ক।

Next Article