AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bankura: শিক্ষক দিবসে চটুল গানের সঙ্গে দেদার নাচ, নিন্দায় সরব সকলে

সিমলাপালের 'উৎকর্ষ বাংলা' কেন্দ্রের এই নাচের ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই সমালোচনায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ব্লক প্রশাসন।

Bankura: শিক্ষক দিবসে চটুল গানের সঙ্গে দেদার নাচ, নিন্দায় সরব সকলে
বাঁকুড়ায় নাচImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2025 | 3:03 PM
Share

বাঁকুড়া: ‘উৎকর্ষ বাংলা’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে বাজ চটুল গান। আর তার তালে তাল মেলালেন পড়ুয়ারা। সেই নাচের ভিডিয়োকে ঘিরে তোলপাড় শুরু হল বাঁকুড়ার সিমলাপালে। সিমলাপালের ‘উৎকর্ষ বাংলা’ কেন্দ্রের এই নাচের ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই সমালোচনায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ব্লক প্রশাসন।

মূলত, এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন পেশাগত কোর্সের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের দিশা দেখানোর লক্ষে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি বাঁকুড়ার সিমলাপালেও চালু হয় এই কেন্দ্র। যেখানে হোটেল ম্যানেজমেন্ট, গারমেন্ট মেকিং ও রিসেপসনিস্ট কাম বিউটিশিয়ান এই তিনটি কোর্সে প্রায় ১৮০ জন স্থানীয় যুবক যুবতী প্রশিক্ষণরত।

গত ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর এই কেন্দ্রে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এই অনুষ্ঠানেরই একটি ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনায় সরব হয় বিভিন্ন মহল। ভিডিয়োয় দেখা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে চটুল গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচ করছেন যুবক যুবতীরা। শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে এমন চটুল নাচের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি।

বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সৌভিক পাত্র বলেন, “বিজেপির দাবি উৎকর্ষ বাংলা কেন্দ্রে বৃত্তিমূলক শিক্ষার কথা বলা হলেও প্রশিক্ষণ নিয়ে পড়ুয়ারা কোনও কাজ পাচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই তারা দিশাহীন হয়ে পড়ছে। আর তার জেরেই এমন ঘটনা ঘটছে।”

তালডাংরার বিধায়ক গৌরাঙ্গ মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের দাবি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমনটা হওয়া অবাঞ্চিত। উৎকর্ষ বাংলার শিক্ষার্থীরা সকলেই প্রাপ্ত বয়স্ক। তাঁরা ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কী করছে তার দায় রাজ্যের সরকার বা শাসক দলের ঘাড়ে চাপানো ঠিক নয়।”

উৎকর্ষ বাংলার ওই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানে সুস্থ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই কেন্দ্রটির নাম খারাপ করার জন্য বিকৃত করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের দাবি ভিডিয়োটি নজরে এসেছে। খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।