বাঁকুড়া: গ্রাম-বাংলার সেই যাত্রা পালা আর কোথায়? এখন ডিজিটালের যুগ। চোখের সামনে, হাতের মুঠোয় মুহূর্তেই সব আয়ত্তে আসে। তাই আগের মতো জনপ্রিয়তা হারিয়েছে যাত্রা গান,পালা। বাংলার হারিয়ে যাওয়া সেই সংস্কৃতিকে আবার তুলে ধরা হল মণ্ডপে।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের তিলবাড়ি লালবাঁধ সর্বজনীনের পুজো এবার ২০ তম বর্ষে পদার্পণ করল। এবারের থিম রঙ্গমঞ্চ। গ্রাম-গঞ্জে এক সময় ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল যাত্রাপালা। তখন বিনোদনের অন্যতম মাধ্যমও ছিল যাত্রাপালা। বহু যাত্রাপালা সেই সময় রীতিমত তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল সমাজে। নীলকরদের অত্যাচার থেকে শুরু করে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন সংগঠিত করার ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিল বাংলার এই রঙ্গমঞ্চ।
তবে এখন ডিজিট্যাল মাধ্যম। সেই যাত্রাপালার জনপ্রিয়তায় শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছে। শুধু চিৎপুর নয় গ্রাম-গঞ্জে বাঁচিয়ে রাখা যাত্রাপালার চর্চাকারী দলগুলিও কার্যত ধুঁকছে। নতুন প্রজন্মের অনেকেই যাত্রাপালার এই সুদীর্ঘ ইতিহাস বিজড়িত সংস্কৃতির সাথে তেমনভাবে পরিচিতই নয়।
একদিকে নতুন প্রজন্মকে যাত্রাপালার সাথে আলাপ করানো আর অন্যদিকে প্রবীণদের পুরানো যাত্রাপালার নস্টালজিয়ায় ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যেশ্যেই এই থিম নির্বাচন দাবী উদ্যোক্তাদের। মঞ্চের প্রতিমা একেবারে নিরস্ত্র। রাশিয়া ইউক্রেন বা ইজরায়েল প্যালেস্টাইন যুদ্ধের আবহে এই প্রতিমা বিশ্ব শান্তির প্রতিক বলে দাবি পুজো উদ্যোক্তাদের। পুজো উদ্যোক্তা বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীর কুমার করদের কথায়, ডিজিটাল যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে যাত্রাপালা। তাই সমাজ যতই এগোক পুরনো ইতিহাসকে সঙ্গে নিয়েই এগোতে হবে।