ব্যুরো খবর: শুধু কলকাতা নয়, বিভিন্ন জেলাতেও পঞ্চমীতে মানুষের ঢল নেমেছে। দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন প্যান্ডেলে লম্বা লাইন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ঠাকুর দেখছেন লোকজন। উত্তরবঙ্গ হোক বা দক্ষিণবঙ্গ, প্রাণের উৎসবে পঞ্চমী থেকেই জেলার মণ্ডপগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়।
উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির উদয়ন সংঘ। পঞ্চমীর বিকেলে দেখে বোঝার জো নেই দেবীর এখনও বোধনই হয়নি। এই পুজোর থিম অশনি সঙ্কেত। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মানুষের হাত কতটা, তা তুলে ধরেছে এ পুজো কমিটি। বলছেন, এ পুজোর উন্মাদনা ধরে রাখা যায় না। তাই পুজোর উদ্বোধন হতেই লম্বা লাইন।
নদিয়ার এনাইন স্কোয়ারের দুর্গাপুজো দেখতে কলকাতা থেকেও ছুটে গিয়েছেন মানুষ। চারধাম এবার এই পুজোর থিম। এতই ভিড় যে ছবিটুকু তোলারও সুযোগ পাচ্ছেন না। লাইনে এগিয়ে যেতে যেতেই যেটুকু সম্ভব ছবি তুলে নিচ্ছেন। কাতারে কাতারে মানুষ সেখানে। দক্ষিণ বারাসত থেকে নদিয়ায় গিয়েছেন ঠাকুর দেখতে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব বলে কথা। কলকাতার থেকে জেলার পুজোগুলো যে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই, বুঝিয়ে দিচ্ছে এ ছবিটাই।
অন্যদিকে বাঁকুড়ার শুশুনিয়ায় এবার কেদার দর্শনের সুযোগ করে দিচ্ছে শুশুনিয়া আমরা সবাই। ঠিক কলকাতায় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের রামমন্দির দেখতে যেমন থিক থিক করছে মানুষ, একই ছবি শুশুনিয়াতেও।
মালদহের হরিশচন্দ্রপুর সর্বজনীনের থিম কাল্পনিক এক পরিত্যক্ত রাজবাড়ি। মালদহের একেবারে প্রান্তিক এলাকা হরিশচন্দ্রপুর। কাছেই বিহার। সেখানেও পশ্চমী থেকেই ভিড়। শিলিগুড়ির অরুণোদয়ের পুজো দেখতেও একইরকম ভিড়। পঞ্চমীর সন্ধ্যাতেই ঢাকের বোলে নাচতে দেখা গেল পাড়ার মেয়ে-বউদের। ৬১তম বর্ষ এ পুজোর। পঞ্চমীতেই সেখানে দীর্ঘ লাইন দিয়ে পুজো দেখার ভিড়। বোঝাই যাচ্ছে পুজোর সবটুকু আনন্দ এবার পঞ্চমী থেকেই চেটেপুটে খাচ্ছে বঙ্গবাসী।