বাঁকুড়া: দশ বছর ধরে জমে থাকা প্রায় ৫৭ টি হাতির দাঁত নষ্ট করল বন দফতর। বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় বন দফতরের কড়া নজরদারিতে একটি চুল্লিতে উচ্চ তাপমাত্রায় এই হাতির দাঁতগুলি পুড়িয়ে ফেলে বন দফতর। গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দলমা পাহাড় থেকে দলে দলে হাতি খাবারের খোঁজে এসে হাজির হয় বাঁকুড়ায়। বছরের একটা বড় সময় ধরে সেই হাতির দল থেকে যায় বাঁকুড়ায়। বাঁকুড়ায় আসা এই হাতির দলের দু’একটি হাতি অসুস্থতা, বার্ধক্যজনিত ও অন্যান্য কারণে প্রায় প্রতি বছরই বাঁকুড়ার জঙ্গলে মারা যায়। বন দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, মৃত হাতিগুলির দেহ ঘটনাস্থলেই পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
হাতির দেহ পোড়াতে যে ধরনের তাপমাত্রা তৈরি করা হয় তাতে হাতির দেহের অংশ পুড়ে গেলেও তার দাঁত অবিকৃত থেকে যায়। ফলে চোরাচালানের ভয়ে মৃত হাতির দেহ পোড়ানোর আগেই তার দাঁত কেটে নেওয়া হয় বন দফতরের তরফে। গত দশ বছর ধরে বাঁকুড়া উত্তর, বাঁকুড়া দক্ষিণ ও বিষ্ণুপুর এই তিনটি বনবিভাগ মিলিয়ে মোট ৫৭ টি হাতির দাঁত বন দফতরের সংগ্রহে ছিল।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে পাস হওয়া একটি আইন অনুযায়ী কোনও পরিস্থিতিতেই হাতির দাঁত ব্যবহার করা যাবে না। বন দফতরের সংগ্রহে থাকা দাঁত নষ্ট করে ফেলতে হবে বন দফতরকেই। সেই আইন অনুযায়ী আজ বাঁকুড়ার তিনটি বনবিভাগ যৌথ ভাবে বাঁকুড়ায় সংগৃহিত হাতির ৫৭ টি দাঁত পুড়িয়ে ফেলার উদ্যোগ নেয়। বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় বন দফতরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতি ও কড়া নজরদারির মধ্যে তাপমাত্রা উৎপাদনক্ষম একটি চুল্লিতে হাতির ওই দাঁতগুলি পুড়িয়ে ফেলা হয়।