বাঁকুড়া: টানা দু’দিন ধরে দফায় দফায় তল্লাশি চালিয়েও ওষুধ ও কিট কেলেঙ্কারির প্রয়োজনীয় নথি মিলল না বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে। অগত্যা তল্লাশি বন্ধ করে বিষয়টি লিখিতভাবে স্বাস্থ্যভবনকে জানানোর জন্য বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তকারীরা। এদিকে ওষুধ ও কিট কেলেঙ্কারির ঘটনায় প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে চিকিৎসক সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম।
স্বাস্থ্য দফতর ও তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার ওষুধ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার কিট কেনে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিট হাসপাতাল। সেই বিলের কিছু টাকা প্রথমে দেওয়া হলেও বেশিরভাগ টাকা বকেয়া থেকে যায়। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরে ও পরে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানায় সংস্থাটি। এই ঘটনার তদন্তে নেমে ওই হাসপাতালে ওষুধ ও কিট কেনার ব্যাপারে বড়সড় বেনিয়মের সন্ধান পায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তদন্তকারী দল। বেনিয়মের নথি সংগ্রহে নেমে বুধবার ওই হাসপাতালের রেকর্ড রুম সিল করে তদন্তকারী দল। পরে দফায় দফায় তল্লাশি চালিয়েও ওই হাসপাতালের ওষুধ ও কিট কেলেঙ্কারির নথি উদ্ধার করতে পারেনি তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীদের সূত্রে পাওয়া খবর বলছে, ওষুধ ও কিট কেনার প্রয়োজনীয় টেন্ডার, বিল-সহ অন্যান্য নথি না মিললেও হাসপাতাল থেকে বেশ কিছু ভাউচার উদ্ধার হয়েছে। ৫০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা অর্থমূল্যের সেই ভাউচার সংগ্রহ করে তা ভাল করে যাচাই করার জন্য তদন্তকারীরা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে পাঠাচ্ছেন। এদিকে সরকারি হাসপাতালে এভাবে ওষুধ ও কিট কেলেঙ্কারির বিষয় সামনে আসতেই আন্দোলনে নেমেছে চিকিৎসকদের সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম। ফোরামের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।