বাঁকুড়া: একাধিক দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষজন। ১ এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহলে (Jangalmahal) শুরু হয়েছে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামের অবরোধ কর্মসূচি। ডাক দেওয়া হয়েছে রেল অবরোধেরও। তাতেই স্তব্ধ রেল। বড় প্রভাব পড়ল বাঁকুড়ায়। বুধবার খড়গপুর ডিভিশনের খড়গপুর আদ্রা লাইনে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল (Train Cancel)। ঘুরপথে চলছে বেশ কিছু ট্রেন। এ দিকে, রেল অবরোধের জেরে একের পর এক ট্রেন বাতিলেসমস্যায় বহু যাত্রী।
আজ ভোরে আদ্রা হাওড়া শিরোমনি ফাস্ট প্যাসেঞ্জার চলাচল করেছে স্বাভাবিক ভাবে। তারপর থেকেই রেল পরিষেবায় প্রভাব পড়তে শুরু করে। পুরুলিয়া হাওড়া পুরুলিয়া এক্সপ্রেস পুরুলিয়ার বদলে আদ্রা থেকে ছেড়ে হাওড়ার উদ্যেশ্যে রওনা দেয়। পুরুলিয়া এক্সপ্রেস ছাড়াও বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুরপাল্লার একাধিক ট্রেনের রুট ডাইভার্ট করে গোমো দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর জেরে সকাল থেকেই বাঁকুড়া স্টেশনে শুরু হয়েছে যাত্রী দুর্ভোগ। একাধিক ট্রেন বাতিল ঘোষণা করায় যাত্রীদের একটা অংশ স্টেশনে এসেও ট্রেন না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। বাঁকুড়ার অন্যতম লাইফ লাইন রেল পরিষেবা। সেই রেল পরিষেবাতেই প্রভাব পড়ায় সর্বাধিক দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
এক যাত্রী বলেন, “প্রত্যেকেরই একটা পরিকল্পনা থাকে। ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হলে সমুহ ক্ষতি হয়। হঠাৎ করে ট্রেন বাতিলে জনজীবনে প্রভাব পড়ে। সাত দিন আগে জানলে সুবিধা হত অন্ততপক্ষ।” এক যাত্রী বলেন, “স্টেশনে এসে শুনলাম। হঠাৎ করে ট্রেন ক্যান্সেল। বাতিল করবে আগে জানাতে পারত। অফিসে জবাব দিহি আমাদের করতে হয়।”