Load shedding: ৮ থেকে ৫টা পর্যন্ত লোডশেডিং! বিদ্যুৎ দফতর আগাম জানালেও শেষ রক্ষা হল না, মাঝপথেই থমকে গেল চিকিৎসা

Hirak Mukherjee | Edited By: জয়দীপ দাস

Jan 19, 2025 | 2:23 PM

Load shedding: দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার আগাম ঘোষণা করেছিল বিদ্যুৎ দফতর। কিন্তু, তারপরেও শেষ রক্ষা হল না। সকাল থেকে অন্ধকারে ডুবে গেল বেলিয়াতোড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র! চূড়ান্ত অব্যবস্থা, থমকে গেল চিকিৎসা পরিষেবা।

Load shedding: ৮ থেকে ৫টা পর্যন্ত লোডশেডিং! বিদ্যুৎ দফতর আগাম জানালেও শেষ রক্ষা হল না, মাঝপথেই থমকে গেল চিকিৎসা
শেষ পর্যন্ত ভরসা সেই টর্চ
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

বেলিয়াতোড়: বিদ্যুতের লাইন মেরামতির কাজ হবে। সে কারণেই দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে। ৮ থেকে আর মিলবে না পরিষেবা। আগাম ঘোষণা করে দিয়েছিল বিদ্যুৎ দফতর। আর তাতেই চূড়ান্ত অচলাবস্থা বেলিয়াতোড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অন্ধকারে ডুবে গেল গোটা হাসপাতাল। কার্যত স্তব্ধ হওয়ার পথে সমস্ত পরিষেবা। মিলল না পানীয় জল। বিদ্যুতের অভাবে নেবুলাইজার যন্ত্র না চলায় ব্যহত হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা।

নামে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র হলেও বাঁকুড়া দুর্গাপুর রাজ্য সড়কের উপর থাকা বেলিয়াতোড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। আউটোডোরের পাশাপাশি এই হাসপাতালে রয়েছে ইনডোর পরিষেবাও। রয়েছে ১০টি বেড। ছোটখাটো অস্ত্রোপচারও হয় এই  হাসপাতালে। হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটার থাকলেও দীর্ঘ এক বছর ধরে তা বিকল। ফলে রাজ্যর পাঠানো বিদ্যুতই ভরসা ওই হাসপাতালের। এদিকে বিদ্যুৎ দফতর বলেছিল লাইন মেরামতির জন্য রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা মিলবে না। তাতেই বিপাকে গোটা হাসপাতাল। 

চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েন ওই হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী, রোগীর পরিজন এমনকি চিকিৎসকরাও। বিদ্যুতের অভাবে পাম্প না চলায় হাসপাতালে পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে। কোনও শৌচালয়েই জল না থাকায় তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ না থাকায় দিনের বেলাতেও অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে ওয়ার্ডগুলি। সর্দি-কাশির চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের নেবুলাইজ করার প্রয়োজন থাকলেও বিদ্যুতের অভাবে চালানো যায়নি নেবুলাইজার যন্ত্র। ফলে ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা পরিষেবা।  হাসপাতালের এই চূড়ান্ত অব্যবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ রোগী থেকে তাঁদের পরিজনেরা। হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবি, জেনারেটার মেরামত করার জন্য বারবারে জেলার স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। 

Next Article