বাঁকুড়া: রাইপুরে তৃণমূলের বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর সমর্থনে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারের সেই সভা থেকে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। দুর্নীতিগ্রস্তদের জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারই পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দেশটাকেই তো জেল বানিয়ে দিয়েছেন।” বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করার অভিযোগ আরও একবার শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। হেমন্ত সোরেন, অরবিন্দ কেজরীবালদের গ্রেফতারিরও প্রতিবাদ শোনা যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মোদীজী আপনি প্রধানমন্ত্রী। আপনি ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন, দীর্ঘ জীবন লাভ করুন। কিন্তু একজন প্রধানমন্ত্রীর মুখে এ ভাষা কি শোভা পায় যে ‘৪ জুন হয়ে গেলে চুনচুনকে অ্যারেস্ট করেগা, সবকো জেল মে ভেজে গা’। আরে অভি তো হিন্দুস্তানকো জেল বনা দিয়া আপনে। আপনার এক পকেটে এনআইএ, আরেক পকেটে সিবিআই। এক পকেটে ইডি, আরেক পকেটে ইনকাম ট্যাক্স।” একইসঙ্গে মমতা বলেন, “এরপরও হুমকি দিচ্ছেন কাকে? আমরা হুমকিতে ভয় পাই না।” একইসঙ্গে বলেন, নতুন সংসদভবনকে জেলখানা বানিয়ে দিতে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, এখানে কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর হামলা হয়। লোক দিয়ে হামলা করানো হয়। তৃণমূল আইন ও সংবিধানকে শেষ করে দেওয়ার মতো একটা দল। সে প্রসঙ্গ টেনেই এদিন মমতা বলেন, দেশটাকেই জেল বানানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কংগ্রেস থেকে উনি রাজনীতি শুরু করেছেন। সেই দলটাই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল, গোটা দেশকে জেলখানা বানিয়েছিল। কংগ্রেসের গর্ভ থেকে যারা অন্য রাজনৈতিক দল তৈরি করেছেন, তাদের কোনও নৈতিক বা রাজনৈতিক অধিকার নেই গণতন্ত্র বা দেশকে জেলখানা বানানো নিয়ে অভিযোগ তোলার।”