বাঁকুড়া: রাজ্য বাজেটে (Bengal Budget) সরকারি কর্মচারীদের তিন শতাংশ ডিএ (Dearness Allowance) বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে। আর এই নিয়েই তীব্র ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে সরকারি কর্মীদের মধ্যে। লাগাতার ধর্না চলছে। অনশন চলছে। রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে নিজেদের ক্ষোভের কথাও জানিয়েছেন তাঁরা। আজ আবার কলকাতার রাজপথে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে মিছিল। বিধানসভা অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। আর এরই মধ্যে ডিএ নিয়ে অসন্তোষের বিষয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বললেন, ‘আমি তো ম্যাজিশিয়ান নই, যে টাকা দাও বললেই গুপী গাইন-বাঘা বাইনের মতো মিষ্টি-টাকা চলে আসবে। টাকা জোগাড় করতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও আমরা তিন শতাংশ ডিএ দিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশ বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলনের পথে নেমেছেন। আন্দোলনের আঁচ ছড়িয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও। এদিন একযোগে রাজ্যের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় – যাদবপুর, কলকাতা, রবীন্দ্রভারতী, আলিয়া ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশ দুপুর দুটো থেকে তিন ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। আগামী ২০ ও ২১ তারিখ বিক্ষুব্ধ সরকারি কর্মচারীরা ‘পেন ডাউন’ বা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আন্দোলন ক্রমেই জটিল আকার নিতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে মহার্ঘভাতা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘ম্যাজিশিয়ান নই’ মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে বড় ম্যাজিশিয়ান। কারণ, কোন খাতের টাকা তিনি কোথায় খরচ করছেন, সেটা ম্যাজিশিয়ানের মতোই করছেন।’ প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদেরও। তাঁরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী যেন তাঁদের বুঝিয়ে দেন, সরকারি কর্মচারীদের বেতনের জন্য কেন্দ্রের থেকে কত টাকা আটকে রাখা হয়েছে। যদি তিনি সেই হিসেব বুঝিয়ে দিতে পারেন, তাহলে তাঁরা দিল্লিতে গিয়েও আন্দোলন করবেন।