বাঁকুড়া: অভাবের সংসার। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার। সেই কারণে ঘাস কেটে চলে সংসার। নিত্যদিনের মতো স্কুল থেকে ফিরে মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিল নাবালিকা। তবে বিপদ যে পথে ওত পেতে বসেছিল তা জানতে পারেনি। হাত-পা বেঁধে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে।
বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের ঘটনা। সেখানে নাবালিকার পরিবারের তরফে পাত্রসায়ের থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতা নাবালিকা দীর্ঘদিন ধরেই তার মামার গ্রামে থেকে পড়াশোনা করছিল। এরপর ষষ্ঠ শ্রেণির ওই পড়ুয়া স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে গবাদি পশুর জন্য বাড়ির অদূরে মাঠে ঘাস কাটতে যায়। অভিযোগ, সেখানেই প্রতিবেশি বছর পঞ্চাশের এক প্রৌঢ় নাবালিকার হাতে থাকা বস্তা কেড়ে তা দিয়েই তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর মুখে বস্তার একাংশ ভরে নাবালিকাকে পার্শ্ববর্তী শসার জমিতে টেনে নিয়ে যায়। সেখানে একটি শসা মাচার নিচে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
এরপর ওই শসা জমিতে কেউ শসা চুরি করছে এই ভেবে স্থানীয় এক বাসিন্দা ঘটনাস্থলে গেলে গোটা ঘটনা দেখে ফেলে। তাকে দেখেই অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার শনিবার পাত্রসায়ের থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্তকে প্রথমে আটক করে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নির্যাতিতার পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘আমার ভাগ্নি মাঠে গিয়েছিল কাজ করতে। পাড়ার এক প্রতিবেশী ওকে ধর্ষণ করে। এর আগেও অনেক মেয়ের সঙ্গে এমন কাজ করেছিল। কালকে বিকেলে আমার ভাগ্নি মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিল। সেই সময় বস্তায় হাত পা বেঁধে ওকে ধর্ষণ করে। এরপর আমাদের গ্রামেরই কয়েকজন যায়। তারা দেখতে পেয়ে খবর দেয়।’