AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bankura: দরজা খোলা, ঘরেতে বাবা-মার মাঝখানে শুয়েছিল দুধের শিশু, ভোর চারটের সময় ‘হাওয়া’

Bankura: কীভাবে ঘর থেকে সন্তান নিখোঁজ হল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না ওই দম্পতি। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। মুন্নি বাউড়ি বলেন, "আমার তিন সন্তান। দুই মেয়ে। এক ছেলে। যাকে নিয়ে গিয়েছে, সে আমার ছোট মেয়ে। কারও সঙ্গে কোনও গন্ডগোল নেই। জানি না কে নিয়ে গিয়েছে।"

Bankura: দরজা খোলা, ঘরেতে বাবা-মার মাঝখানে শুয়েছিল দুধের শিশু, ভোর চারটের সময় 'হাওয়া'
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন নিখোঁজ শিশুর বাবা-মাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2025 | 1:37 PM
Share

বাঁকুড়া: রাতে বাবা-মার সঙ্গে বিছানাতেই ঘুমিয়েছিল। ভোরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেল ১ বছর ৩ মাসের এক শিশু। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়ায় বাঁকুড়ার সানবাঁধা গ্রাম পঞ্চায়েতের বগা গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা।

অন্যান্য দিনের মতো গতকাল রাতে প্রশান্ত বাউড়ি ও মুন্নি বাউড়ি তাঁদের তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়ির মধ্যে ঘুমিয়েছিলেন। লোডশেডিং থাকায় প্রবল গরমে ঘরের দরজা খুলে রেখেছিলেন। রাতে ১ বছর ৩ মাস বয়সী অন্তরা বাউড়িকে স্তন্যপান করান মা মুন্নি বাউড়ি। তারপর ভোর চারটা নাগাদ ওই দম্পতি ঘুম থেকে উঠে দেখেন, বিছানায় নেই অন্তরা। এরপরই বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানায় ওই দম্পতি।

কীভাবে ঘর থেকে সন্তান নিখোঁজ হল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না ওই দম্পতি। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। মুন্নি বাউড়ি বলেন, “আমার তিন সন্তান। দুই মেয়ে। এক ছেলে। যাকে নিয়ে গিয়েছে, সে আমার ছোট মেয়ে। কারও সঙ্গে কোনও গন্ডগোল নেই। জানি না কে নিয়ে গিয়েছে।” প্রশান্ত বাউড়ি বলেন, “গরমের জন্য দরজা খুলে রেখেছিলাম। দেড়টার সময়ও পাশে দেখেছি। চারটার সময় দেখি পাশে নেই। মনে হচ্ছে বাচ্চা চুরি হয়ে গিয়েছে। কারা করেছে জানি না। পুলিশ বলছে, তারা দেখছে।”

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। পেশায় দিনমজুর ওই দম্পতির দাবি, স্থানীয় কোনও ব্যক্তির সঙ্গে তাঁদের তেমন শত্রুতা নেই। তাহলে কে বা কারা ওই শিশুকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেল? সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।