Minor Harassment: দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে যাচ্ছিল বলে বেরিয়েছিল প্রেমিকের সঙ্গে, মা-বাবার কাছে ফিরল মেয়ের নিথর দেহ

Hirak Mukherjee | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 18, 2024 | 5:20 PM

Bankura: খবর পেতেই তড়িঘড়ি নাবালিকার পরিবার ছুটে যায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। অভিযোগ তারা হাসপাতালে পৌঁছে দেখেন মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এরপর রবিবার দিনভর বিচারের আশায় বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করার পর সোমবার ভোরের দিকে ছাতনা থানায় নাবালিকার পরিবারের তরফে প্রেমিক রাহুল বাউড়ি ও প্রেমিকের বাবা ধীরেন্দ্রনাথ বাউড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

Minor Harassment: দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে যাচ্ছিল বলে বেরিয়েছিল প্রেমিকের সঙ্গে, মা-বাবার কাছে ফিরল মেয়ের নিথর দেহ
রাহুল বাউড়ি
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

বাঁকুড়া: নাবালিকা প্রেমিকাকে ফুঁসলিয়ে হাওড়ার ডোমজুড় থেকে বাঁকুড়ায় নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল প্রেমিক ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ছাতনা থানার তেঘরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধগড়া গ্রামে। নাবালিকার পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ পেতেই অভিযুক্ত প্রেমিক ও তাঁর বাবাকে আটক করেছে ছাতনা থানার পুলিশ। মৃত্যুর আসল কারণ জানতে সোমবার মেয়েটির ময়নাতদন্ত করা হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, হাওড়ার ডোমজুড় এলাকায় একটি গেঞ্জি কারখানায় প্রিন্টিংয়ের কাজ করত বাঁকুড়ার ছাতনা থানার তেঘরি গ্রামের যুবক রাহুল বাউড়ি। ঠিক তার পাশেই অপর একটি গেঞ্জি কারখানার মালিকের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই যুবকের বলে খবর স্থানীয় সূত্রে। সম্পর্ক মেনে নিলেও মেয়ে নাবালিকা থাকায় এখনই দু’জনের বিয়ে দিতে নারাজ ছিল মেয়ের পরিবার। গত ১৫ নভেম্বর দক্ষিণেশ্বরে পুজো দেওয়ার নাম করে নাবালিকার বাড়ি থেকে প্রেমিকাকে নিয়ে বের হয়ে দু’জনে উধাও হয়ে যায়। নাবালিকার পরিবারের দাবি, দীর্ঘক্ষণ কেটে যাওয়ার পর দু’জনের ফোনেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু দু’জনের ফোনই সুইচ অফ ছিল। পরেরদিন নাবালিকার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে যখন নাবালিকার খোঁজ চালাচ্ছিলেন সেই সময় রাহুল ফোন করে তাঁদের জানায় তারা বাঁকুড়ার ধগড়া গ্রামে চলে এসেছিল। কিন্তু সেখানে এসেই ওই নাবালিকা গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

খবর পেতেই তড়িঘড়ি নাবালিকার পরিবার ছুটে যায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। অভিযোগ তারা হাসপাতালে পৌঁছে দেখেন মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এরপর রবিবার দিনভর বিচারের আশায় বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করার পর সোমবার ভোরের দিকে ছাতনা থানায় নাবালিকার পরিবারের তরফে প্রেমিক রাহুল বাউড়ি ও প্রেমিকের বাবা ধীরেন্দ্রনাথ বাউড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

নাবালিকার পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়েকে ফুসলিয়ে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে প্রেমিক ও তার বাবা মিলে খুন করেছে। অভিযোগ পেতেই ছাতনা থানার পুলিশ অভিযুক্ত প্রেমিক ও তার বাবাকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে । অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে নাবালিকার পরিবার।

মৃতার বাবা বলেন, “দক্ষিণেশ্বরে যাবে বলে বেরিয়েছিল। ওর বাবা বলেছে আমাদের বাড়িতে লুচি মাংস খেয়েছিল। সেই কারণে শরীর খারাপ হয়েছ। তারপর মৃত্যু হয়েছে।”

Next Article