বিষ্ণুপুর: একেবারে সিনেমার কায়দায় হয়েছিল ছিনতাই। কিন্তু, খোঁজ মেলেনি দুষ্কৃতীদের। ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে একটি তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অবশেষে মিলল সাফল্য। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রথমে বরযাত্রী বোঝাই বাসে ও পরে একটি লরিতে লুটপাটের ঘটনায় গ্রেফতার মূল চক্রী। শুক্রবার রাতে বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার আধকাটা জঙ্গল থেকে মজিবুর খান নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বাইক থেকে একটি ইম্প্রোভাইসড ওয়ান শর্টার ও একটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়। ধৃতকে এদিন বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে ১০ দিন পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর রাতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার ঢেঙ্গাশোল জঙ্গলে কিছু দুস্কৃতী রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বরযাত্রী বোঝাই একটি বাস ও চলন্ত একটি লরি আটকায়। এরপর আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দুটি গাড়িতেই লুটপাট চালায় দুস্কৃতীরা। বরযাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ছাড়াও বেশ কিছু দামি ধাতুর অলঙ্কার নিয়ে চম্পট দেয়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বরযাত্রীদের উদ্ধার করলেও দুস্কৃতীদের নাগাল পায়নি। ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে একটি তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর নির্দিষ্ট সূত্র কাজে লাগিয়ে ও প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ১ ডিসেম্বর এই ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক আলি মোল্লা নামের একজনকে চিহ্নিত করতে সমর্থ হয় পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও বেশ কিছু তথ্য হাতে আসে পুলিশের। মূল চক্রীকে ধরতে পাতা হয় ফাঁদ।
এ সব তথ্যের উপর ভিত্তি করেই শুক্রবার রাতে জয়পুর থানার আধকাটা জঙ্গলে ওই ঘটনার মূল চক্রী মজিবুর খানের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে পুলিশ। গভীর রাতে বাইক নিয়ে জঙ্গল পথে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলে। তার বাইক থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজটি। পুলিশ জানিয়েছে মজিবুর খানের বাড়ি গড়বেতা থানার ছোট আঙারিয়া গ্রামে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই গোটা দলের খোঁজ পেতে চাইছে পুলিশ।