বিষ্ণুুপুর: চূড়ান্ত পরিদর্শনের পর আরও একধাপ এগিয়ে গেল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়া। এদিন বিষ্ণুপুর শহর লাগোয়া লাইট হাউস এলাকায় পোর্ট ট্রাস্টের অধীনে থাকা একটি জায়গা পরিদর্শনে যান কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের কলকাতা রিজিওনাল অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার-সহ একদল প্রতিনিধি। প্রস্তাবিত জায়গা এবং সেখানে থাকা ভবন দেখে ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেয় ওই প্রতিনিধি দল। সাংসদের আশা সব ঠিকঠাক চললে চলতি বছর এপ্রিলের মধ্যেই পথ চলা শুরু করবে ওই বিদ্যালয়।
বাঁকুড়া জেলায় রেল, ফুড কর্পোরেশান, এলআইসি-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতর থাকলেও এতদিন বাঁকুড়া জেলায় কোনও কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ছিল না। লোকসভা নির্বাচনের আগে তৎকালীন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার ঘোষণা করেছিলেন বাঁকুড়া শহর লাগোয়া একটি জায়গায় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় তৈরি করা হবে। কিন্তু, পরবর্তীতে সুভাষ সরকার হেরে যাওয়ায় সেই প্রকল্প চলে যায় বিশ বাঁও জলে। এরপরই বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিষ্ণুপুরে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপনের ব্যাপারে আওয়াজ তুলতে থাকেন।
সাংসদের দাবির পরেই দেখা যায় নতুন বছরের গোড়াতেই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল বিষ্ণুপুরে যায়। ওই প্রতিনিধি দল বিষ্ণুপুর শহর লাগোয়া পোর্ট ট্রাস্টের একটি জায়গাকে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপনের উপযোগী বলে রিপোর্ট দেয়। সেই রিপোর্টেকে ভিত্তি করে এদিন বিষ্ণুপুর শহর লাগোয়া লাইট হাউস মোড় এলাকায় পোর্ট ট্রাস্টের জায়গা পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের কলকাতা রিজিওনাল অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার-সহ একটি প্রতিনিধি দল। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে সঙ্গে নিয়ে প্রস্তাবিত জায়গা ঘুরে দেখেন তাঁরা।
অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দিবাকর গুঁইয়ের দাবি, প্রস্তাবিত জায়গাটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপনের পক্ষে উপযুক্ত। দ্রুত বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, সব ঠিকঠাক চললে চলতি বছর এপ্রিল মাসেই পথচলা শুরু করবে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন কবে হয়।