বাঁকুড়া: কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরি বাতিল হয়েছে ২৫ হাজারের। শুধুমাত্র মানবিক কারণ দেখিয়ে চাকরি বহাল থেকেছে সোমা দাসের। তবে চাকরি বাঁচেনি বাঁকুড়ার আর এক ক্যানসার আক্রান্তের। রাতারাতি চাকরি হারিয়ে মাথায় হাত ওই যুবকের। কীভাবে চলবে সংসার। কীভাবে চলবে চিকিৎসা। ভেবেই কূল কিনারা করতে পারছেন না বিধান বাউরি ও তাঁর পরিবার।
বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের ঘোড়ামুলী গ্রামের বিধান বাউরির জন্ম অত্যন্ত নিম্নবিত্ত পরিবারে। মা সনকা বাউরি অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনও ক্রমে ছেলেকে লেখাপড়া শেখান। ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়ে গ্রুপ সি পদে চাকরি পান বিধান।
তাঁর এই সরকারি চাকরি বিধানের মুখে হাসি ফোটায় পরিবারের। ঋণ নিয়ে মাথা গোঁজার জন্য পাকা বাড়ি তৈরি করেন তিনি। তবে সুখ স্থায়ী হয়নি। ২০২২ সালের গোড়ায় বিধানের শরীরে ধরা পড়ে মারণ ক্যানসার। দিল্লি এইমসে তাঁর চিকিৎসা চলছে। আর এরই মাঝে আদালতের রায়ে হঠাৎ করে চাকরি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন বিধান ও তাঁর পরিবার। এখন কীভাবে চলবে সংসার? কীভাবেই বা চলবে বিধানের চিকিৎসার খরচ তা ভাবলেই এখন দু’চোখের পাতা এক করতে পারছেন না বিধান ও তাঁর পরিবার।
এ প্রসঙ্গে বিধান বাউরি বলেন, ঠসরকার চাকরি দিয়েছে। এখন চাকরি চলে গেল। এর দায়ও সরকারের। এখন দেখছি ঠগ বাছতে গিয়ে পুরো গ্রাম উজার হয়েছে। যারা দোষ করেছে ওরা শাস্তি পাক। আমার জীবনের শেষ অবলম্বন ছিল চাকরিটুকু। সেটাও চলে গেল। আমি চাইনি আমার শারীরিক পরিস্থিতি দেখে চাকরি বহাল থাকুন।”