বাঁকুড়া: সিকিমের বিপর্যয়ের চার দিন কেটে গিয়েছে। সিকিমে কাজে যাওয়া বাঁকুড়ার হেত্যাগড়া গ্রামের দুই যুবকের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পরিবারের। উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় দিন কাটছে দুই পরিবার। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের হেত্যাগড়া গ্রামের ভোলানাথ শিকারি ও কর্ণ অধিকারী এই দুই যুবক সিকিমের লাচুংয়ে একটি হোটেলে কাজ করেন। দুই যুবকই প্রতিদিন পরিবারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতেন।
শনিবার ফোনে সিকিমে প্রবল বৃষ্টির কথা পরিবারকে জানিয়েছিলেন ওই দুই যুবক। তারপর থেকে দুজনেরই টেলিফোন সুইচ অফ থাকায় আর যোগাযোগ হয়নি। দুজনেই যে হোটেলে কাজ করতেন, সেই হোটেলের মালিকের বাড়ি শিলিগুড়িতে। হোটেল মালিকের সঙ্গে পরিবারের একাধিকবার কথা হয়েছে। কিন্তু তিনিও জানিয়েছেন সিকিমের লাচুং এলাকায় টেলিফোন পরিসেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় কর্মীদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় দুই পরিবারের লোকজন। বাঁকুড়া জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে পরিবারগুলির সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কিন্তু পরিবারগুলির এখন শুধুই অপেক্ষা একবারের জন্য হলেও টেলিফোনে যোগাযোগের।
বেড়েই চলেছে তিস্তা বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার রাত আটটা পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যানে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ম্যাঙন জেলায় ৪ জন, গ্যাংটকে ৫ জন, পাকিয়ং জেলায় ১০ জনের মৃত্যুর তথ্য সরকারি ভাবে পাওয়া গেছে। নিখোঁজের সংখ্যা এখনও ১০০’র বেশি।