বাঁকুড়া: সংশোধিত তালিকায় বদলে গিয়েছে প্রার্থীর নাম। মনোনয়ন কেন্দ্রেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। অভিযোগ, প্রতিবাদে প্রাক্তন মন্ত্রীকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান দলেরই লোকজন। সোনামুখী পুরসভার জন্য তৃণমূলের (TMC Candidate List) প্রথম প্রার্থী তালিকায় নাম ছিল রীতা সাহার। পরে সংশোধিত তালিকায় নাম আসে কবিতা রজকের। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। এরপরই প্রতিবাদে বিষ্ণুপুর (Bishnupur) মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়ন কেন্দ্রেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে প্রাক্তন মন্ত্রীকে বাঁচিয়ে কোনওভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। যদিও কবিতা রজক এদিন মনোনয়ন কেন্দ্রে বসেই বলেন, তাঁর শরীর ভাল নেই। ভোটে লড়বেন না তিনি। জমা দেবেন না মনোনয়নপত্রও। তৃণমূলের প্রথম প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় সোনামুখী পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থী হিসাবে রীতা সাহার নাম আসে। এদিকে এরপর দ্বিতীয় যে তালিকা জেলা নেতৃত্বের হাতে আসে, সেখানে দেখা যায় কোনও অজানা কারণেই নামটি উধাও। সেখানে কবিতা রজক নামে আরেক তৃণমূল কর্মীকে রাখা হয়েছে। এই প্রার্থী বদলকে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর মহকুমাশাসকের দফতরের মনোনয়নকেন্দ্রে প্রকাশ্যে চলে আসে তৃণমূলের দলাদলির চিত্রটা।
তৃণমূলের বাঁকু়ড়া জেলার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা এদিন মনোনয়ন কেন্দ্রের কাছাকাছি যেতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সোনামুখী ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সমস্ত কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ চাইছেন রীতা সাহা তৃণমূলের প্রার্থী হোক। দলের জেলা নেতৃত্বরও ইচ্ছে তাঁকেই প্রার্থী করার। এমনও অভিযোগ, কবিতা রজকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েই তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে। আর এতে প্রাক্তন মন্ত্রীরও ইন্ধন রয়েছে বলেই অভিযোগ দলীয় কর্মীদের একাংশের।
গত চারদিন ধরে এই বিভ্রান্তি চললেও সে ব্যাপারে দলের নেতৃত্ব কোনও পদক্ষেপ করেননি বলেও অভিযোগ। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা এদিন মনোনয়ন কেন্দ্রে এলে তাঁকে হাতের কাছে পেয়ে বিক্ষোভ উগরে দেন প্রতিবাদীরা। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি একেবারে রাজ্য নেতৃত্বের ভাষায়ই এদিন বলেছেন, দল বড় হয়েছে তাই একটু সমস্যা হয়েছিল। এখন সমস্তটাই মিটে গিয়েছে। অন্যদিকে সংশোধিত প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা কবিতা রজক নিজেই জানিয়েছেন শারীরিক কারণে তিনি প্রার্থী হতে চান না।
এদিন মনোনয়ন কেন্দ্রে বসেই কবিতা রজক বলেন, “আমার শরীর ভাল না। আমি মনোনয়ন জমা দিচ্ছি না। তালিকায় নাম থাকলেও দেব না। আমার শারীরিক অবস্থা ভাল নেই। তাই আমি ভোটে দাঁড়াতে চাই না। আমার বদলে অন্য কেউ যদি মনোনয়ন দেয় তাতে আমার কোনও অসুবিধা নেই। আমি রাজি। আমি পারব না।” অন্যদিকে শ্যামল সাঁতরা বলেন, “কোনও বিক্ষোভ হয়নি। আমাদের দলের মধ্যে সমস্ত কিছু আলোচনা হচ্ছে। সবকিছুর সমাধান হয়ে যাবে। চিন্তার কিছু নেই। আর তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে তা নিয়েও কোনও দ্বিমত নেই।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাঁকুড়া: সংশোধিত তালিকায় বদলে গিয়েছে প্রার্থীর নাম। মনোনয়ন কেন্দ্রেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। অভিযোগ, প্রতিবাদে প্রাক্তন মন্ত্রীকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান দলেরই লোকজন। সোনামুখী পুরসভার জন্য তৃণমূলের (TMC Candidate List) প্রথম প্রার্থী তালিকায় নাম ছিল রীতা সাহার। পরে সংশোধিত তালিকায় নাম আসে কবিতা রজকের। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। এরপরই প্রতিবাদে বিষ্ণুপুর (Bishnupur) মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়ন কেন্দ্রেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে প্রাক্তন মন্ত্রীকে বাঁচিয়ে কোনওভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। যদিও কবিতা রজক এদিন মনোনয়ন কেন্দ্রে বসেই বলেন, তাঁর শরীর ভাল নেই। ভোটে লড়বেন না তিনি। জমা দেবেন না মনোনয়নপত্রও। তৃণমূলের প্রথম প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় সোনামুখী পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থী হিসাবে রীতা সাহার নাম আসে। এদিকে এরপর দ্বিতীয় যে তালিকা জেলা নেতৃত্বের হাতে আসে, সেখানে দেখা যায় কোনও অজানা কারণেই নামটি উধাও। সেখানে কবিতা রজক নামে আরেক তৃণমূল কর্মীকে রাখা হয়েছে। এই প্রার্থী বদলকে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর মহকুমাশাসকের দফতরের মনোনয়নকেন্দ্রে প্রকাশ্যে চলে আসে তৃণমূলের দলাদলির চিত্রটা।
তৃণমূলের বাঁকু়ড়া জেলার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা এদিন মনোনয়ন কেন্দ্রের কাছাকাছি যেতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সোনামুখী ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সমস্ত কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ চাইছেন রীতা সাহা তৃণমূলের প্রার্থী হোক। দলের জেলা নেতৃত্বরও ইচ্ছে তাঁকেই প্রার্থী করার। এমনও অভিযোগ, কবিতা রজকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েই তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে। আর এতে প্রাক্তন মন্ত্রীরও ইন্ধন রয়েছে বলেই অভিযোগ দলীয় কর্মীদের একাংশের।
গত চারদিন ধরে এই বিভ্রান্তি চললেও সে ব্যাপারে দলের নেতৃত্ব কোনও পদক্ষেপ করেননি বলেও অভিযোগ। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা এদিন মনোনয়ন কেন্দ্রে এলে তাঁকে হাতের কাছে পেয়ে বিক্ষোভ উগরে দেন প্রতিবাদীরা। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি একেবারে রাজ্য নেতৃত্বের ভাষায়ই এদিন বলেছেন, দল বড় হয়েছে তাই একটু সমস্যা হয়েছিল। এখন সমস্তটাই মিটে গিয়েছে। অন্যদিকে সংশোধিত প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা কবিতা রজক নিজেই জানিয়েছেন শারীরিক কারণে তিনি প্রার্থী হতে চান না।
এদিন মনোনয়ন কেন্দ্রে বসেই কবিতা রজক বলেন, “আমার শরীর ভাল না। আমি মনোনয়ন জমা দিচ্ছি না। তালিকায় নাম থাকলেও দেব না। আমার শারীরিক অবস্থা ভাল নেই। তাই আমি ভোটে দাঁড়াতে চাই না। আমার বদলে অন্য কেউ যদি মনোনয়ন দেয় তাতে আমার কোনও অসুবিধা নেই। আমি রাজি। আমি পারব না।” অন্যদিকে শ্যামল সাঁতরা বলেন, “কোনও বিক্ষোভ হয়নি। আমাদের দলের মধ্যে সমস্ত কিছু আলোচনা হচ্ছে। সবকিছুর সমাধান হয়ে যাবে। চিন্তার কিছু নেই। আর তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে তা নিয়েও কোনও দ্বিমত নেই।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা