বাঁকুড়া: বারংবার হাজিরা এড়াচ্ছিলেন। সেই কারণে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পরবর্তী হাজিরার আগেই আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। পেলেন জামিনও।
বিধাননগর আদালতের নির্দেশ ছিল আগামী ৯ জুলাই হাজিরা না দিলে গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে নির্দিষ্ট সেই দিনের আগেই গত ৪ জুলাই বিধাননগর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন বিজেপির ওই সাংসদ। জামিন পেতেই পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি।
উল্লেখ্য, সালটা ২০১৩। বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার মানিকবাজার এলাকায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর একটি দুর্নীতির ঘটনায় বিক্ষোভরত স্বনির্ভর দলের মহিলাদের বিক্ষোভে হাজির হয়ে সোনামুখী থানার আইসি-কে উদ্দেশ্য করে হুমকি ও কুকথা বলার অভিযোগ ওঠে সৌমিত্র খাঁ-র বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় সোনামুখী থানার পুলিশ সৌমিত্রর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৪৩, ১৭৯, ৩২৩,৩৩২,৩৫৩,৩৫৪ এ, ৫০৫/১, ৫০৬ ও ৫০৯ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করে। অভিযুক্ত সাংসদ হওয়ার দরুণ সেই মামলা যায় বিধাননগর আদালতে।
সূত্রের খবর, মামলায় আদালত মোট চারবার সৌমিত্র খাঁকে আদালতে হাজিরার জন্য দিন ধার্য করলেও সৌমিত্র খাঁ আদালতে হাজিরা দেননি। সাংসদের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২৫ জুন বিধাননগর আদালত নির্দেশ দেয় আগামী ৯ জুলাই সৌমিত্র খাঁ আদালতে হাজিরা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে হবে। এই নির্দেশ পাওয়ার পরই গত ৪ জুন বিধাননগর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। আদালত পাঁচশো টাকা বেল বন্ডে সৌমিত্র খাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পেতেই সৌমিত্র খাঁ এদিন একহাত নেন সোনামুখী থানার পুলিশকে।
এ প্রসঙ্গে সৌমিত্র বলেন, “কোর্টের নির্দেশ মেনে গত পরশু দিন জামিন পেয়েছি। পুলিশ টাকা তুলবে। আর আমার সাংসদ পদ খারিজের জন্য কেস দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ চুরি করবে আর ওরাই কেস দেবে। এটা লজ্জার।”