বাঁকুড়া: গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্তের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বাঁকুড়া জেলা আদালত। ২০২২ সালের মার্চ থেকে এই ঘটনার মামলা চলছিল বাঁকুড়া জেলা আদালতে। সোমবারই বাঁকুড়া জেলা আদালতের বিচারক মনোজ্যোতি ভট্টাচার্য ওই ঘটনায় বিনোদ বাউরীকে দোষী সাব্যস্ত করেন। তবে রায় দান হয়নি। মঙ্গলবার আসামীর দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু মূল ঘটনার সূত্রপাত কোথায়?
বাঁকুড়া জেলা আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের মার্চ মাসে মেজিয়া থানা এলাকায় গ্রামের এক গৃহবধূ পুকুরে শামুক কুড়োতে যান। অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে একা পেয়ে ওই গ্রামেরই এক যুবক ধর্ষণ করে। বাড়িতে এসে ওই মহিলা সব খুলে বলেন। পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ দায়ের করে। বয়ান দেন মহিলা।
ঘটনার পরই নির্যাতিতা ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পুলিশের তরফে ২০২২ সালেরই ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট জমা করা হয়। এরপর থেকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চলতে থাকে। অবশেষে সোমবার বিচারক তাঁকে ওই দোষী সাব্যস্ত করে। এদিন অভিযুক্তকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।