বাঁকুড়া: দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তাই ডায়োলসিস করাতে একাধিকবার বেসরকারি নার্সিংহোমে গিয়েছিলেন। কিন্তু এইবার আর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হল না। ডায়োলসিসের সময়ই হাসপাতালে মৃত্যু হল ব্যক্তির। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিবারকে সেই দুঃসংবাদ দেওয়ার পাশাপাশি মৃতের হাত থেকে দু’টি আংটি খুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। এখানেই তৈরি হয় সমস্যার। পরিবারের দাবি বেসরকারি ওই হাসপাতাল নাকি মৃতের আঙুল থেকে আংটি চুরি করেছে। কারণ ওই ব্যক্তির হাতে তিনটি আংটি ছিল।
মৃতের নাম গুরুপ্রসাদ চক্রবর্তী (৫৪)। বাঁকুড়া শহরের ২ নং নাপিত গলির বাসিন্দা তিনি। জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার পাটপুর এলাকায় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ডায়োলিসিসের জন্য মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ ভর্তি করে গুরুপ্রসাদবাবুকে ভর্তি করে তাঁর পরিবার। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে। এবার মৃত্যুর পরে মৃতের আঙুলে থাকা ২ টি আংটি ও টাকা পয়সা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফেরত দেয় মৃতের পরিবারের লোকজনকে। কিন্তু পরিবারের লোকের দাবি মৃতের হাতের আঙুলে তিনটি আংটি ছিল। দুটি আংটি ফেরত দিলেও মহামূল্যের একটি আংটি ফেরত দেয়নি বেসরকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে মৃতের পরিবারের তরফ থেকে আংটিটি খোঁজ করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্পষ্টই জানিয়ে দেয় মৃতের হাতে দু’টি আংটি ছিল। এরপরই হাসপাতালের বিরুদ্ধে মৃতের আঙুল থেকে দামি আংটি চুরির অভিযোগ তুলে প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ২নং ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলর রাজীব দে সহ মৃতের পরিবারের লোকজন। বিক্ষোভের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই ‘মহামূল্যের’ আংটি ফেরত দেয় বলে দাবি মৃতের পরিবারের সদস্যের।
আংটি ফেরত দেওয়ার পরও হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে বেশ খানিকক্ষণ বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় মানুষজন। থানায় ও প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হবে বলেও জানিয়েছে মৃতের পরিবার। এদিকে হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা আংটি চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের যুক্তি ওই আংটি প্রথমে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে খুঁজে পাওয়ায় তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে মৃতের পরিবারকে ।