বাঁকুড়া: আবাস যোজনা (Awas Yogana) নিয়ে লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির অভিযোগ, শাসকদলের একাংশ নিজেদের পাশাপাশি আত্মীয়দেরও আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দিচ্ছেন। এই নিয়ে জেলাগুলি থেকে আকছাড় দুর্নীতির খবর উঠে এসেছে। যদিও, সমস্ত অভিযোগ খণ্ডন করেছে তৃণমূল। এবার আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়তেই পঞ্চায়েত প্রধানকে চেয়ার থেকে তুলে নিয়ে এসে বাইরে ঘিরে রাখলেন বঞ্চিত পরিবারের সদস্যারা।
বাঁকুড়ার ১নং ব্লকের কেঞ্জাকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। যোগ্য হয়েও আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়েছে অনেকের। এই অভিযোগে বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বেদনা বাউড়িকে চেয়ার থেকে তুলে বাইরে নিয়ে এসে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বঞ্চিত পরিবারগুলি।
শুধু তাই নয়, এদিন বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ, আবাস যোজনার যোগ্য হয়েও তালিকা থেকে বাদ দিয়ে যাদের বাড়ি রয়েছে তাদের তালিকায় নাম রাখা হয়েছে। আবাস যোজনার উপভোক্তা হওয়ার যোগ্য হয়েও বাড়ি না মেলায় ব্যাপক ক্ষোভে ফুঁসছেন ওই এলাকার বঞ্চিত পরিবারগুলি।
এরপর আজ দুপুরে কেঞ্জাকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানকে ঘিরে প্রথমে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার বেশ কিছু বঞ্চিত পরিবার। এরপরেই প্রধানকে চেয়ার থেকে তুলে নিয়ে ঠেলতে ঠেলতে বাইরে নিয়ে এসে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্ষোভকারীরা। বিজেপি পরিচালিত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন বিক্ষোভকারী মহিলারা। পঞ্চায়েতের তরফে অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ।
এই বিষয়ে কেঞ্জাকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিক বলেন, ‘এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ অপরদিকে, পঞ্চায়েত প্রধান বেদনা বাউড়ি জানান, “ওরা বাড়ির জন্য বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। অনেকের নামই তালিকা থেকে বাদ গেছে। সঠিক ভাবে তদন্ত হয়নি।” অপরদিকে, যুব তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সন্দীপ বাউড়ি বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।”