বাঁকুড়া : শিক্ষক নিজে বিদ্যালয় বানান বলতে পারেন না। ইংরাজি শব্দ বলা তো দূরের কথা! সহজ অঙ্ক কষতেও ভুল হয়ে যায়। স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনেছিলেন গ্রামবাসীরা। শিক্ষককে সরানোর আবেদন জানিয়েছিলেন অভিভাবকেরা। সেই খবর তুলে ধরা হয়েছিল TV9 বাংলায়। বাঁকুড়ার সেই চড়ুইকুড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এলেন নতুন শিক্ষক। যে শিক্ষককে অযোগ্য বলে অভিযোগ করে অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা, সেই শিক্ষককে আপাতত ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ নতুন শিক্ষককে ওই স্কুলে পাঠিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে খুশি অভিভাবকেরা।
বাঁকুড়ার ওই স্কুলে ২০২১ সালের জুলাই মাসে সহ শিক্ষক পদে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব দিক্ষিত। কিছুদিনের মধ্যেই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। গ্রামবাসীরা বারবার দাবি করেন, পড়াতেই পারছেন না ওই শিক্ষক। ইংরাজি তো দূরের কথা সহজ বাংলা বানানও তিনি বলতে পারতেন না বলে অভিযোগ। সহজ যোগ বিয়োগও করতে পারতেন না বলেও অভিযোগ। স্কুলের পড়ুয়ারাও সেই অভিযোগ জানিয়েছিল। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে রাজীব দিক্ষিত নামে ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা।
গত ১১ জুলাই চড়ুইকুড় স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের সেই আন্দোলনের খবর TV9 বাংলায় তুলে ধরা হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে ব্লক প্রশাসন। ঘটনার পরের দিন থেকেই রাজীব দীক্ষিত নামের ওই শিক্ষককে আর স্কুলে যেতে দেখা যায়নি।
সূত্রের খবর, ওই শিক্ষককে আপাতত ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওন্দা ব্লকের ইন্দড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিঠুন সাঁতরাকে চড়ুইকুড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো শনিবার থেকে ওই শিক্ষক চড়ুইকুড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি চড়ুইকুড় গ্রামের মানুষ। কাজে যোগ দিয়ে নতুন শিক্ষক মিঠুন সাঁতরা জানিয়েছেন, তাঁকে এই স্কুলে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কী কারণে আনা হয়েছে, সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানাননি।