বাঁকুড়া: এর আগেও তাঁকে খুন করার চেষ্টা হয়েছিল, সে অভিযোগ একাধিকবার বিভিন্ন সভা থেকে তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে এবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ার সভা থেকে আরও বেশ কিছু অজানা তথ্য তুলে ধরলেন নেত্রী। নির্বাচনী প্রচারে (West Bengal Assembly Election 2021) এসে সোমবারের সভার শুরুতেই তাঁর অতীত জীবনের বেশ কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। বর্তমান প্রজন্মের কাছে দৃষ্টান্ত তুলে ধরতেই যে তিনি কথাগুলো বলছেন, তাও উল্লেখ করে দেন।
বড়জোড়ার সভায় সিপিএমকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে থাকেন একের পর এক প্রসঙ্গ। মমতা বলেন, “সিপিএম আমাকে অনেক মেরেছিল। আমার মাথা ভেঙে চৌচির করে দিয়েছিল। আমাকে ব্রেন অপারেশন করাতে হয়েছিল। আমাকে ওরা নর্দমায় ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিল। এক জন পুলিশ গুরুপদ সোম বলে আমাকে বাঁচিয়েছিল। তখনও মৃত্যু থেকে ঘুরে এসেছিলাম।”
এরপরই গার্ডেনরিচের প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন মমতা। বললেন, “আপনাদের বলি এরপরই আমার জীবন একটা অদ্ভূত ঘটনা ঘটে। একদিন আমার কাছে একটি মেয়ে আসে। ওর নাম রুকসানা। আমি তখন বাড়ি ছিলাম না। আমাকে ও বলেছিল, ওর স্বামীকে জেলে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। ও প্রেগন্যান্ট ছিল। আমি ওকে বলেছিলাম, তুমি বাড়ি চলে যাও। আমি তোমার সঙ্গে দেখা করতে যাব। আমি গাড়ি নিয়ে গার্ডেনরিচে গিয়েছিলাম। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আমার গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আমার গাড়ি ঘিরে ধরল ওরা। আমাকে লাথি মারছে, ঘুষি মারছে। আমার চোখে মারা হয়েছে। আমার গাড়ি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিমান দা বলল গাড়ি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আচমকাই তারপর গুলি চালিয়েছিল।”
আরও পড়ুন: বাংলায় সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা! শহরের কোথায় কোথায় সবচেয়ে বেশি বিপদ? দেখে নিয়ে এড়িয়ে চলুন জায়গাগুলি
কথা গুলি যখন মমতা বলছিলেন, সভাস্থলে নিঃস্তব্ধতা। এক টানা মমতা বলতে থাকলেন, “এলাকায় গুলি চলছিল। কোথাও কিচ্ছু নেই। হঠাৎ করে একটা ছেলে এসে আমার সামনে হাত তুলে দাঁড়িয়ে গেল। গুলিটা আমার কপালে লাগার বদলে ওর হাতের মাঝ খান দিয়ে বেরিয়ে গেল। এই ঘটনা আমার জীবনে ঘটেছে। আমার দুটো চোখ অপারেশন করাতে হয়েছিল।” মমতা বললেন, “আমার জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে আছি। কিন্তু আমি জীবনে হেরে যাইনি।”