বাঁকুড়া: স্বামী মদ খেয়ে অত্যাচার করতেন। অভিযোগ, দীর্ঘদিনের সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে বেঁধে বেধড়ক মারেন স্ত্রী। সেই মারের চোটে মৃত্য়ু হয় ওই ব্যক্তির বলে অভিযোগ। বাঁকুড়া (Bankura) সদর থানার শ্যামদাসপুর গ্রামের এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, মদ্যপ স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বছর ছয়েক আগে স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন রীতা আদক। অভিযোগ, এরপরও থামেনি স্বামীর নির্যাতন। মদ খেয়ে সটান শ্বশুরবাড়ি গিয়েও হাজির হতেন সেন্টু আদক নামে ওই ব্যক্তি। শুক্রবারও তাই করেন। অভিযোগ, এরপরই সেন্টুকে গাছে বেঁধে মারধর করেন রীতা। থানায়ও যান বিচার চাইতে। এদিকে থানা থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এরপরই বাঁকুড়া সদর থানার শ্যামদাসপুরে গিয়ে পুলিশ রীতাকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় মোটর গ্যারাজ মেকানিক সেন্টু আদকের সঙ্গে বছর ২৫ আগে বিয়ে হয় রীতার। তিন মেয়ে তাঁদের। অভিযোগ, অভাবের সংসার। স্বামী মদ খেয়ে টাকা উড়িয়ে দিতেন। শুধু তাই নয়, মদ খেয়ে স্ত্রীকে মারধরও করতেন বলে অভিযোগ। মদ্যপ স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বছর ছয়েক আগে তিন মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন রীতা। বাড়ি ভাড়া নেন বাপের বাড়ির কাছে। বিড়ি বেঁধে সংসারের জোয়াল ঠেলার পাশাপাশি তিন মেয়ের বিয়েও দেন মা।
অভিযোগ, এরপরও মদ্যপ স্বামীর অত্যাচার বন্ধ হয়নি। মাঝেমধ্যেই বাপের বাড়ি গিয়ে চড়াও হতেন সেন্টু। শুক্রবার রীতার বাপের বাড়ির লোকজনকে মারধরের পাশাপাশি বাড়িতে ভাঙচুর করেন সেন্টু। এরপরই বাপের বাড়ির লোকজন রীতাকে ডেকে নিয়ে গেলে রীতা স্বামীকে গাছে বেঁধে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এরপর বিচারের আশায় বাঁকুড়া সদর থানায় হাজির হন।
এদিকে রীতা থানা থেকে বাপের বাড়িতে ফিরে দেখেন স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার খবর পেতেই শ্যামদাসপুর গ্রামে রীতার বাপের বাড়িতে হাজির হয় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানোর পাশাপাশি পুলিশ রীতা আদককে গ্রেফতার করে। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত রীতা আদক।