Body Recover: শিক্ষকের বাড়িতে ভোরবেলা থানা থেকে ফোন, যা বলল, শুনে মূর্ছা যাওয়ার জোগাড় পরিবারের
Bankura News: খাতড়া থানার কেশিয়ায় ওই শিক্ষকের গ্রামের বাড়ি হলেও তিনি বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহি এলাকায় নিজের বাড়িতে থাকতেন।
বাঁকুড়া: রবিবার সকাল থেকে খোঁজ ছিল না শিক্ষকের। দিনভর তল্লাশি করেও খবর পাওয়া যায়নি। এরপর সোমবার বাঁকুড়ার তালডাংরার এক জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল মৃতদেহ (Body Recover)। জানা গিয়েছে, খাতড়ায় বাড়ি হলেও তিনি তালডাংরায় আলাদা থাকতেন। স্থানীয় পাকসারা জুনিয়র হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনি। খবর পেয়ে এদিন সকালেই তালডাংরায় ছুটে আসেন বাড়ির লোকেরা। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ধন্দে পরিবারের লোকজন। তবে তাঁদের দাবি, এটা আত্মহত্যারই ঘটনা। নিহত ওই শিক্ষকের নাম অপূর্ব পাত্র। সোমবার সকালে তালডাংরা থানার পাকসারার জঙ্গলে শিক্ষক অপূর্ব পাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, জঙ্গলে যেখানে মৃতদেহ পড়েছিল, তার পাশে কীটনাশকের মোড়ক পড়েছিল। যা দেখে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ওই শিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন।
খাতড়া থানার কেশিয়ায় ওই শিক্ষকের গ্রামের বাড়ি হলেও তিনি বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহি এলাকায় নিজের বাড়িতে থাকতেন। রবিবার খাতড়ায় বাড়ি যাবেন বলে বের হন তিনি। কিন্তু সারাদিন তাঁর কোনও খোঁজ ছিল না। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অপূর্ব পাত্রর স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে কিডনির গুরুতর অসুখে ভুগছেন। স্ত্রীর কিডনি সংক্রান্ত চিকিৎসাও চলছিল। স্ত্রীর শরীর নিয়ে সবসময়ই চিন্তায় থাকতেন তিনি। এসবের মধ্যেই এই ঘটনা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
নিহত অপূর্ব পাত্রের ভাই উত্তম পাত্র বলেন, “শুনলাম রবিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোয় দাদা। বাড়ি যাচ্ছে বলে বেরিয়েছিল। কিন্তু বাড়িতেও আসেনি, সারাদিন কোনও খবরও পাওয়া যায়নি। এরপরই খবর আসে দেহ উদ্ধার হয়েছে। কেন যে এমন করল বুঝতে পারছি না। রবিবার সকাল থেকে খোঁজ ছিল না। রাত অবধি গ্রামের ছেলেরা খোঁজখবর চালায়। ঘণ্টা দু’য়েক খোঁজ করেও পায়নি। পরে আজ সকালে দেহ পায়। আত্মহত্যাই মনে হচ্ছে।” তিনি জানান, থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগও দায়ের হয়েছিল।
শুভেন্দু পাত্র নামে নিহতের খাতড়ার এক প্রতিবেশির কথায়, “আমাদের কাছে খবর যায় বাঁকুড়া থেকে বেরিয়েছে। কিন্তু বাড়ি পৌঁছয়নি। ওর স্ত্রী ফোন করে ওদের বাড়িতে। এরপরই খাতড়া থানা লোকেশন ট্র্যাক করে তালডাংরার একটা জঙ্গলে খোঁজ পায়। পুলিশও যায়। আমাদের তো মনে হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে কেন এটা বলতে পারব না।”