Sarada Devi: জয়রামবাটিতে সারদা মায়ের মন্দিরের শতবর্ষ উদযাপন, ভক্তের ঢল সকাল থেকে
Bankura: ১৯২৩ সালে রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগে মা সারদার পুরাতন বাটি ও নতুন বাটি নিয়ে প্রতিষ্ঠা হয় মাতৃমন্দিরের। ধীরে ধীরে এই মন্দির দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিশ্বের দরবারে পরিচিতি পায়। বছরভর বহু মানুষ মায়ের বাড়ি দেখতে আসেন।

বাঁকুড়া: সারদা মায়ের (Sarada Devi) জন্মভূমি জয়রামবাটি। রামকৃষ্ণ মঠ মিশনের উদ্যোগে ১৯২৩ সালে পথ চলা শুরু হওয়া জয়রামবাটি মাতৃ মন্দিরের এবার শতবর্ষ। রবিবার থেকে শুরু হয়েছে সেই শতবর্ষ উদযাপন। দিনভর বর্ণাঢ্য বিভিন্ন ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান হবে এখানে। মায়ের টানে মায়ের ভূমে হাজির হয়েছেন হাজার হাজার ভক্ত ও পুণ্যার্থী। বাঁকুড়ার জয়রামবাটি গ্রামে রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের পরিবারে ১৮৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন সারদা মা। ৯ বছর বয়সে ১৮৫৯ সালে জয়রামবাটি গ্রামের বাড়িতেই কামারপুকুরের রামকৃষ্ণ দেবের সঙ্গে বিয়ে হয় সারদার। দীর্ঘ সময় জয়রামবাটির বাড়িতেই বসবাস করতেন সারদা মা। এই বাস্তুভিটে থেকেই মা সারদা ভক্তদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আমি সতেরও মা, অসতেরও মা।’ জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের কাছে মা সারদার দরজা ছিল অবারিত।
জয়রামবাটিতে ১৯২৩ সালের অক্ষয় তৃতীয়ায় মা সারদার নতুন ও পুরনো বাড়িকে অক্ষত রেখে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা হয় মাতৃমন্দিরের। পায়ে পায়ে সেই মাতৃমন্দিরের এবার শতবর্ষ। এই শতবর্ষে মাতৃ মন্দির কার্যত নজির গড়েছে সেবা কর্মে। শনিবার থেকে মাতৃমন্দিরে শতবর্ষ উদযাপন শুরু হয়েছে। আজ সকালে মাতৃ মন্দির থেকে শুরু হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। ১০০ ঢাক, ১০০ ঢোল, তাসা, সানাই-সহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র নিয়ে জয়রামবাটি গ্রামে রবিবার সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়। মাতৃমন্দিরে চলে বিশেষ পুজোপাঠ। মাতৃ মন্দির চত্বরে দিনভর ভক্তিগীতি, ভজন, কীর্তন, যাত্রাপালা-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকেই উৎসব শুরু হয়। এই উৎসব উপলক্ষে সেজে উঠেছে মায়ের বাটি। মেতে উঠেছে গোটা গ্রাম। দিনভর নানা অনুষ্ঠান রয়েছে। টানা দাবদাহের পর গত দু’দিনে বাঁকুড়ার তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে জেলায়। আবহাওয়া কিছুটা মনোরমই বলা যায়। সকাল থেকেই ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় জয়রামবাটিতে।
