বাঁকুড়া: ভাইয়ের মৃতদেহ আগলে বসে থাকার অভিযোগ উঠল দাদা, বৌদির বিরুদ্ধে। বাঁকুড়া শহরের দোলতলায় এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় শুক্রবার। অভিযোগ, এলাকায় বিকট গন্ধ বেরোতে থাকে এদিন। এরপরই সেই গন্ধের উৎস খুঁজতে বেরিয়ে দেখা যায় স্থানীয় কর্মকার বাড়ি থেকে তা আসছে। পরে দেখা যায় সে বাড়িরই এক ছেলের মৃত্যু হয়েছে। দাদা ও বৌদি সেই মৃতদেহ আগলে ঘরের ভিতরে বসে। স্থানীয়দের অনুমান, দিন দুই আগেই এই মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির লোকজন কিছু জানাননি। তবে বাড়ির কর্তা অশোক কর্মকারের দাবি, তাঁর ভাই সনৎ কর্মকার শুক্রবারই মারা যান।
বাঁকুড়া শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দোলতলা। সেখানেই কর্মকার বাড়ি। দাদা অশোক কর্মকার ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গেই থাকতেন ৫৬ বছর বয়সী ভাই সনৎ কর্মকার। অশোকবাবুর রেডিয়ো, টেপ রেকর্ডারের মেরামতির দোকান। সনৎবাবুও সেই দোকানেই বসতেন। দুই ভাইয়ে মিলে এই ব্যবসা সামলাতেন। সনৎবাবুর বিয়ে হয়নি। এলাকার লোকজনের কথায়, এই পরিবারের কেউই সেভাবে পাড়ার লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা করতেন না। সেরকমভাবে কারও সঙ্গে কথাবার্তাও বলতেন না তাঁরা।
শুক্রবার দুপুরের পর থেকে ওই বাড়ির আশেপাশে বোঁটকা গন্ধ বেরোতে শুরু করে। রাত যত বাড়তে থাকে, গন্ধও আরও তীব্র হয়। এরপরই এলাকার লোকজন কোথা থেকে এই গন্ধ আসছে তার সন্ধানে নামেন। এরপরই জানা যায়, সনৎ কর্মকারের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী কার্তিক কর্মকার বলেন, “ওরা পাড়ায় কারও সঙ্গে মেশে না। দুই ভাই, বৌদিই থাকে বাড়িতে। ওদের ব্যবহার খুব একটা স্বাভাবিক বলে মনে হয় না। মনে হয় কোনও অবসাদ কাজ করে ওদের। যে মারা গেছে, মনে হচ্ছে দু’ তিনদিন আগেই মারা গিয়েছে।” যদিও অশোক কর্মকার বলেন, “ভাইয়ের কিডনির সমস্যা ছিল। হাই প্রেশার ছিল। আমি ১০টার সময় দেখছি মারা গিয়েছে। কখন মারা গেছে তা বলতে পারব না। তবে শুক্রবারই মারা গেছে।”