শালতোড়া: শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির গাড়িতে হামলার অভিযোগ। পঞ্চায়েতের ভোট গণনার জন্য শালতোড়ার নেতাজি সেন্টেনারি কলেজে গণনাকেন্দ্র তৈরি হয়েছে। সেই গণনাকেন্দ্রের বাইরে আজ দুপুরে যান বিধায়ক চন্দনা বাউরি। গণনাকেন্দ্রের বাইরে বিজেপির ক্যাম্পে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে বসেছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময়েই একদল দুষ্কৃতী তাঁদের উপর হামলা শুরু করে। দুষ্কৃতীরা তৃণমূল আশ্রিত বলে অভিযোগ বিধায়কের। গণনাকেন্দ্রের বাইরে বিজেপির ক্যাম্প লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ। বিধায়কের গাড়িও ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ।
বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের এই অতর্কিতে হামলায় তাঁদের বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন। চন্দনা বাউরি বলছেন, তাঁরা গণনাকেন্দ্রের থেকে চারশো মিটার দূরে ক্যাম্প তৈরি করেছিলেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা এসে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ভাঙচুর করে। বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের যখন মারধর করা হচ্ছিল, তখন পুলিশ ধারেকাছে কোথাও ছিল না বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার দিকেই আঙুল তুলছেন বিধায়ক। পরে তিনি ক্যাম্প অফিস থেকে বাইরে বেরনোর পর পুলিশের ‘টনক’ নড়ে বলে দাবি চন্দনা বাউরির।
যদিও এই অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এই হামলার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার। তাঁর দাবি, গোটা বিষয়টিই হয়েছে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে শালতোড়ায়। শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতর।