বাঁকুড়া: রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভার জন্য গ্রামে দলীয় পতাকা টাঙাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। গুরুতর জখম হলেন পাঁচ বিজেপি কর্মী। সভা শেষে আহতদের নিয়ে সটান থানায় হাজির হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। কাঠগড়ায় তৃণমূল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তি খবর রোজই আসছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে। কোথাও বিরোধী প্রার্থী হুমকি, মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ, কোথাও আবার কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর-লুঠপাট।
শুক্রবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় হুল দিবস উদযাপন ও বাঁকুড়ার গোড়াবাড়ি এলাকায় নির্বাচনী সভা সেরে সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে সভা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের বড়শাল এলাকার বিজেপি কর্মীরা নিজেদের গ্রামে দলের পতাকা লাগাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেসময়ে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাঁদের পতাকা টাঙাতে বারণ করেন। তা নিয়েই শুরু হয় বচসা।
অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালান। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। সভামঞ্চে ওঠার পর এই ঘটনার খবর কানে যায় শুভেন্দু অধিকারীর। সভা শেষ করেই তাঁদেরকে ডেকে পাঠান তিনি।
সভা শেষ হতেই আহত কর্মীদের নিয়ে সটান শুভেন্দু অধিকারী হাজির হন গঙ্গাজলঘাটি থানায়। থানার আইসি-র সঙ্গে কথা বলে দ্রুত অভিযোগ নেন। পুলিশ প্রশাসন অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও, অস্বীকার করেছেন শাসক নেতৃত্ব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “এভাবে দমানো যাবে না। আমাদের কর্মীরা পতাকা লাগাচ্ছিলেন, বিনা প্ররোচনায় তাঁদের মারা হয়েছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি রাজ্যের মানুষই বুঝতে পারছেন।” তৃণমূলের গঙ্গাজলঘাটির ব্লক সভাপতি হৃদয় মাধব দুবের বক্তব্য, “এই হামলার কথা আমি কিছুই জানি না। রাজ্যে আইনের শাসন চলছে, তাই যে কেউ দিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতেই পারেন।”