বাঁকুড়া: রাতের অন্ধকারে ভরা বাজারে শ্যুট আউট। ভগ্নিপতির গুলিতে গুরুতর জখম শ্যালক। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার তাজপুর গ্রামে। গুলিতে গুরুতর জখম অবস্থায় শ্যালক দিলীপ দলুইকে প্রথমে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আহতকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরে অভিযুক্ত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার তাজপুর গ্রামের মৌসুমীর সঙ্গে বিয়ে হয় আরামবাগের কালীপুর এলাকার বাসিন্দা চিন্ময় মালিকের। ওই দম্পতির তিনটি সন্তানের জন্মের পর চিন্ময় আরও একটি বিয়ে করেন বলে অভিযোগ। এরপরই মৌসুমীর উপর অত্যাচার শুরু হওয়ায় সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে তাজপুর গ্রামের বাপের বাড়িতে চলে আসেন মৌসুমী। ডিভোর্সের জন্য আদালতের দ্বারস্থও হন তিনি। সেই ডিভোর্স কেস তুলে নেওয়ার জন্য মৌসুমী ও তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনকে ক্রমাগত চাপ ও হুমকি দিত চিন্ময় এমনটাই অভিযোগ।
এরই মাঝে গতকাল রাত্রিবেলা সাড়ে দশটা নাগাদ মৌসুমীর দাদা দিলীপ দোলুই তাজপুরের গাজনতলা বাজারে নিজের দোকান বন্ধ করছিলেন। তখন দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন যুবক। অভিযোগ, সেই সময় আচমকাই সেখানে বাইকে চড়ে হাজির হয় মৌসুমীর স্বামী চিন্ময় মালিক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দিলীপ দোলুইকে লক্ষ করে গুলি ছোঁড়ে চিন্ময়। গুলি দিলীপ দোলুই এর পেটে লাগে। দিলীপ ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়লে চিন্ময় ঘটনাস্থল থেকে বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে কোতুলপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আহত দিলীপ দোলুইকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন প্রথমে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ও পরে এসএসকেএমে নিয়ে যায়।
পরিবারের দাবি, চিন্ময় দ্বিতীয় বিয়ে করার পর মৌসুমী বাপের বাড়িতে চলে আসার পর থেকেই চিন্ময় ক্রমাগত হুমকি দিত। বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরও এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। অবিলম্বে চিন্ময়কে গ্রেফতার করে তার কঠোর শাস্তির দাবীতে সরব হয়েছেন গুলিতে আহত দিলীপ দোলুই এর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা।