বাঁকুড়া: বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তীতে শাসক-বিজেপি সব শিবিরই আদিবাসী ভোট কাছে টানতে আসরে নেমে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সভা করেছেন বেলপাহাড়িতে। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীরা (Suvendu Adhikari) আবার রয়েছেন বাঁকুড়ায়। দুই শিবিরই আসরে নেমে পড়েছে জঙ্গলমহলকে (Jangalmahals) নিজেদের কাছে টানতে। বিরসা মুন্ডার জন্মদিবসে সরকারি ছুটির ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সেই নিয়েই এবার তির্যক খোঁচা দিতে শুরু করেছে বিজেপি শিবির। বাঁকুড়ার সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, “জঙ্গলমহলের বেলপাহাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, আমি বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ছুটি দিয়েছি। আরে, জঙ্গলমহল ছুটি চায় না। জঙ্গলমহল চাকরি চায়। জঙ্গলমহল জমি, জঙ্গল, জলের অধিকার ফিরে পেতে চায়।”
সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারে করে সভা করতে যাওয়া নিয়েও খোঁচা দেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, “ক্রেডিট নিতে গিয়েছিলেন বেলপাহাড়িতে জনজাতি গ্রামে। হেলিকপ্টারে করে গিয়েছিলেন ভয়ে। যদি হলুদ পাগড়ি পরা জঙ্গলমহলের লোকগুলি মাদল-ধামসা লাগিয়ে জিজ্ঞেস করে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুর বদলে যশবন্ত সিনহাকে কেন ভোট দিয়েছিলেন?” জঙ্গলমহল আর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নেই বলেই দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কেন্দ্রের থেকে টাকা আসছে না বলে রাজ্য সরকার মাঝে মধ্যেই যে অভিযোগ তোলে, সেই নিয়েও এবার পাল্টা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, কেন্দ্র হিসেব চায়। বিরোধী দলনেতার কথায়, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৪০ লাখ বাড়ি হল কীভাবে? ৪০ লাখ বাড়ির জন্য ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা করে নরেন্দ্র মোদী দিয়েছেন। লিখেছিলেন বাংলা আবাস যোজনা। চুন দিয়ে মুছছে। শৌচাগারের গায়ে লেখা মোছাচ্ছে।” রাজ্য শাসক দলের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়িয়ে শুভেন্দুর দাবি, আর একটা ‘উলগুলান’ প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, এই উলগুলান শব্দটি মুদ্রা বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত। এই শব্দের আক্ষরিক অর্থ প্রবল বিক্ষোভ। বাঁকুড়ার সভা থেকে রাজ্যের শাসক শিবিরকে এইভাবেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।