হাসপাতালের যত্রতত্র পড়ে রয়েছে পিপিইকিট, নোংরা আবর্জনা! ফের একবার কাঠগড়ায় সাগর দত্ত হাসপাতাল

tista roychowdhury |

May 23, 2021 | 11:07 AM

ফেলে রাখা হয়েছে অন্য আবর্জনা। কটু গন্ধে ভরেছে হাসপাতাল চত্বর। হাসপাতালের ভেতরেও প্রায় একই ছবি। পরিষ্কার হয়নি কোনও আবর্জনাই। রীতিমতো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই দিন কাটাচ্ছেন রোগীরা।

হাসপাতালের যত্রতত্র পড়ে রয়েছে পিপিইকিট, নোংরা আবর্জনা! ফের একবার কাঠগড়ায় সাগর দত্ত হাসপাতাল
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: রাজ্যে বেলাগাম করোনা। রোজ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। বাড়ছে মৃত্যুহার। এরমধ্যে, ফের একবার সাগর দত্ত হাসপাতালের (Sagar Dutta Medical College Hospital) ছবি ভয় ধরাল আমজনতার। আতঙ্কিত চিকিৎসাধীন রোগীরা।

কোভিড আবহে চরম অব্যবস্থা সাগর দত্ত হাসপাতালে। শনিবার হাসপাতাল (Sagar Dutta Medical College Hospital) চত্বরে দেখা গেল, রাস্তার মধ্যে যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়েছে ব্যবহৃত পিপিইকিট (PPE Kit), হাতের গ্লাভস। ফেলে রাখা হয়েছে অন্য আবর্জনা। কটু গন্ধে ভরেছে হাসপাতাল চত্বর। হাসপাতালের ভেতরেও প্রায় একই ছবি। পরিষ্কার হয়নি কোনও আবর্জনাই। রীতিমতো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই দিন কাটাচ্ছেন রোগীরা। তাঁদের পরিবারের অভিযোগ, কোভিড আবহে বিন্দুমাত্র হেলদোল নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এভাবে হাসপাতালে ছড়িয়ে থাকা নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করতে বারবার সাফাইকর্মীদের অনুরোধ করা হলেও তারা পাত্তা দেয়নি বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, এইভাবে হাসপাতাল চত্বরে ব্যবহৃত পিপিইকিট থেকে সংক্রমিত হতে পারেন অনেকে। কিন্তু, এত সবের পরেও মুখে কুলুপ কর্তৃপক্ষের। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন খোদ রোগী ও তাঁদের পরিজনরা। যদিও, আগের বারের মতো এ বারেও এ বিষয়ে মুখ খোলেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, কোভিড আবহে সাগর দত্ত হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College Hospital) রোগীদের সুবিধার কথা ভেবে চালু হয় একটি অক্সিজেন পার্লার। বাড়ানো হয় কোভিড শয্যা। কিন্তু তারপরেও হাল ফেরেনি হাসপাতালের। চরম অব্যবস্থা ও হেনস্থার শিকার হতে দেখা যায় রোগীদের। ঠিক এক সপ্তাহ আগে  দেখা যায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মাটিতে পড়ে শ্বাসকষ্টে কাতরাচ্ছেন কোনও রোগী, কেউ আবার পাননি কোভিড শয্যা। স্ট্রেচারে শুয়েই কিংবা হুইল চেয়ারে বসে অক্সিজেন নিচ্ছেন অনেকে। যথাযথ পরিষেবা পাচ্ছেন না বলেই অভিযোগ করেছেন রোগী ও রোগীর পরিবার। যার জেরে প্রাণ যাচ্ছে অনেক রোগীর। শয্যার তুলনায় রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় পরিষেবা দিতে গিয়ে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। কিন্তু তারপরেও  না শয্যার না অক্সিজেন, কোনওটারই ব্যবস্থা করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ বার ফের হাসপাতাল চত্বরে আবর্জনা থাকার অভিযোগে কাঠগড়ায় কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, শনিবারের বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮৬৩ জন। এই একই সময় সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ২০২ জন। যদিও মৃত্যুর হার প্রায় একই রয়েছে। সেখানে কোনও স্বস্তি নেই। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৫৯। আজ তা সামান্য কমে হয়েছে ১৫৪ । সুস্থতার হারও কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৮৮.৩২ শতাংশ। বর্তমানে রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয়েছে ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৮৮। পজিটিভিটির হার বর্তমানে ২৭ শতাংশ।

আরও পড়ুন: ‘নিয়ম’ বোঝাতে আইন ভাঙলেন রক্ষক, বোলপুরের চৌরাস্তায় পুলিশকর্মীদের জমায়েত, নীরব প্রশাসন!

Next Article