TMC-Congress: কেষ্টর বাড়ি থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূলে ভাঙন ধরালেন অধীর

Congress in Bolpur: অধীর বললেন, 'অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির কাছে সভা বাংলার মানুষকে বার্তা দিচ্ছে। এতদিন যা অসাধ্য মনে হত, আজ সম্ভব হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় পরিবর্তন আসছে।'

TMC-Congress: কেষ্টর বাড়ি থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূলে ভাঙন ধরালেন অধীর
বোলপুরে অধীরের হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ তৃণমূল কর্মীদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 24, 2023 | 7:22 PM

বোলপুর: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election 2023) নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা না হলেও রাজ্যজুড়ে নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। চলছে রাজনীতির ঘুঁটি সাজানোর পালা। আর এরই মধ্যে কেষ্টহীন বীরভূমে শাসক শিবিরে ভাঙন ধরাতে তৎপর কংগ্রেস শিবির। বুধবার বোলপুরে অনব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটারের মধ্যে সভা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। আর সেই সভা থেকেই অধীরের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের হাত ধরলেন এক ঝাঁক তৃণমূল কর্মী। কংগ্রেসের দাবি, সদ্য তৃণমূল ছাড়া কর্মীদের সংখ্যা প্রায় কয়েকশো। এদিন তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। এদিন বোলপুরের সভা থেকে বেশ আগ্রাসী মেজাজে দেখা গেল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। বললেন, ‘অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির কাছে সভা বাংলার মানুষকে বার্তা দিচ্ছে। এতদিন যা অসাধ্য মনে হত, আজ সম্ভব হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় পরিবর্তন আসছে।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর বেশ চনমনে বাংলার কংগ্রেস শিবিরও। কর্নাটকে কংগ্রেসের জয়ের দিনই অধীর চৌধুরীর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় সেই বার্তা পাওয়া গিয়েছিল। বাংলার সকলকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই নিয়ে শাসক শিবির তৃণমূলের থেকে খোঁচা ও বিদ্রুপও হজম করতে হয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। আর এবার অধীর চৌধুরী খোদ কেষ্ট-গড়ে দাঁড়িয়ে তাঁর বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে তৃণমূলের ঘর ভেঙে কংগ্রেসে টানলেন শতাধিক কর্মীকে। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বললেন, ‘তৃণমূল জাতীয় দল ছিল, এখন আঞ্চলিক দলে পরিণত হয়েছে। আমরা তৃণমূলকে পঞ্চায়েতের দলে পরিণত করব।’

এদিকে বুধবার তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যাওয়া এক কর্মী জানাচ্ছেন, শাসক দলের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে, সেই কারণেই তাঁরা তৃণমূল ছাড়ছেন। জানালেন, সেই দুর্নীতির অভিযোগের কারণে তাঁরা আর তৃণমূলের সঙ্গে থাকতে চান না। বললেন, ‘জায়গায় জায়গায় দেখা যাচ্ছে লুঠপাট হচ্ছে, বিস্ফোরণ হচ্ছে। জেলে যাচ্ছে নেতা-মন্ত্রীরা। এই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আর থাকা যায় না।’

যদিও কংগ্রেস শিবিরে এই যোগদানকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছেন না তৃণমূলের বীরভূম কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, ‘কংগ্রেসের সভায় ৫০০ লোকও হয়নি। তাহলে কয়েকশো লোক যোগ দিল কীভাবে? পুরোটাই ভাঁওতা। তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছেন বাংলার সব মানুষ। তৃণমূলের এত খারাপ অবস্থা এখনও হয়নি যে লোকে তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে যাবে। ওরা দিবাস্বপ্ন দেখছে।’