শান্তিনিকেতন: যে সোনাঝুড়ির রূপের শোভা দেখতে প্রায়ই রাজ্যের নানা জেলা থেকে পর্যটকরা ছুটে যায় শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) সেই সোনাঝুড়িই যেন ক্রমেই যেন মৃত্যু-মুখে তলিয়ে যাচ্ছে সোনাঝুরি (Sonajhuri)। দফারফা হচ্ছে প্রকৃতির। অভিযোগ, দেদার হাতবদল হচ্ছে জমির। অভিযোগ, হাজার বিঘার বেশি সরকারি জমি দখল হয়েছে শুধু সোনাঝুরি এলাকাতেই। আর এখানেও উঠে এসেছে অনুব্রত (Anubrata Mondal) যোগের কথা। কিন্তু প্রশাসন কোথায়? গোটা এলাকা দাপাচ্ছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা। TV-9 বাংলার অন্তর্তদন্তে বেরিয়ে এল এমনই বিস্ফোরক তথ্য।
অভিযোগ জমি আইন ও পরিবেশ আইনকে বুড়ে আঙুল দেখিয়ে জমি দখল করছে অনুব্রত অনুগামীরা। তাদের দাপটেই ভয়ে রয়েছেন আদিবাসি-স্থানীয়রা। অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের দাপটে সোনাঝুরির ভূগোল বদলে ইতিহাস হয়ে যাচ্ছে। খোয়াই খোয়া যাচ্ছে নেতা আর জমি মাফিয়াদের লোভের দাপটে। অভিযোগ, এখানকার তৃণমূলে নেতারা আইনের উর্ধ্বে উঠে জমির চরিত্র বদল করছে। আদিবাসি জমি, খাস জমি, সরকারি জমি সব হাত বদল করে নাম পরিবর্তন করে বিক্রি করে দিচ্ছে। নিয়ম ভেঙে তৈরি হচ্ছে একের পর এক রিসোর্ট।
সূত্রের খবর, এলাকায় প্রায় ২০টি বেআইনি রিসর্ট রয়েছে। শুধুমাত্র সোনাঝুরি এলাকাতেই সবমিলিয়ে প্রায় ১ হাজার বিঘা সরকারি খাস জমি বেদখল করেছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ রিসর্ট ব্যাবসায়ী তৃণমূল নেতারা। এলাকার আদিবাসীদের ভয় দেখিয়ে টাকা দিয়ে কয়েকশো বিঘা জমি কার্যত কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিবেশ আইন ভেঙে চলছে কংক্রিটের কাজ। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র সোনাঝুরি এলাকাতেই সব মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার বিঘা সরকারি খাস জমি বেদখল করেছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ রিসর্ট ব্যাবসায়ী তৃণমূল নেতারা। কীভাবে পুরসভা এলাকায় চলছে এই বেআইনি কাজ? উত্তর মেলেনি। পুরসভার চেয়ারম্যানকে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা বলেননি। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শান্তিনিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিকরা। তাঁদেরও স্পষ্ট অভিযোগ প্রশাসনের মদতেই লুট হচ্ছে জমি ও পরিবেশ।