Bagtui Massacre: রামপুরহাট-কান্ডে চাপ বেড়েছে অনুব্রত-র! দিনভর কোথায় কোথায় ছুটলেন তিনি?
Bagtui Massacre: বগটুই-কান্ডে শর্ট সার্কিটের তত্ত্ব খাড়া করেছেন অনুব্রত মন্ডল। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে এ দিন দেখা গিয়েছে তাঁকে।

রামপুরহাট: বঙ্গ রাজনীতিতে বরাবরই আলোচ্য নাম অনুব্রত মণ্ডল। রাজনৈতিক মহলে কেষ্ট বলেও পরিচিত তিনি। বিধায়ক বা সাংসদ হননি কোনও দিন। শীর্ষ নেতৃত্ব হিসেবে পরিচিতি পাননি। তবে নিছক একজন জেলা সভাপতি হিসেবে তাঁর যা পরিচিতি, তা হার মানিয়ে দেবে অনেক বড় নেতাকেও। বীরভূমের যে কোনও ঘটনার সঙ্গে অনুব্রতর কোনও না কোনও যোগ আছে, এই অলিখিত সত্য স্বীকার করে নেন অনেকেই। আর সেই অনুব্রত-গড়ে ভয়ঙ্কর হত্যার ঘটনা। এই এলাকায় বোমাবাজি বা গোলাগুলির খবর কানে আসে প্রতিনিয়ত। কিন্তু, এবার হাড়হিম করা ঘটনা। ঘরের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে গেল একটা আস্ত পরিবার, জানতেও পারল না কেউ। বীরভূমের এমন একটি ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে সেই অনুব্রত মণ্ডলের নাম। সবথেকে আলোচিত সেই নেতা কী করলেন সারাদিন?
মঙ্গলবার সকালে ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল কোথায় অনুব্রত? তবে কি চুপ থাকবেন তিনি? তাঁর সঙ্গে সত্যিই কি যোগ আছে এই ঘটনার? বেলা বাড়তে দেখা গেল, মোটেই লুকিয়ে নেই বীরভূমের দাপুটে নেতা। যাঁর মুখে বারবার শোনা যায় খেলা হবে স্লোগান। সেই অনুব্রত সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে অবলীলায় বলে দিলেন ‘শর্ট সার্কিট’থেকেই আগুন লেগেছে। যাঁর মুখ থেকে ঘটনার ব্যাখ্যা শোনার জন্য অপেক্ষা করছিল রাজনৈতিক মহল, তাঁর মুখে এই ব্যাখ্যা আবারও সমালোচনার মুখে ফেলেছে শাসক দলকে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন তদন্তের আগেই কী ভাবে ‘শর্ট সার্কিট’আখ্যা দিয়ে দিলেন অনুব্রত?
তবে বিতর্ক বা সমালোচনা যতই হোক, চুপ করে বসে থাকার পাত্র নন অনুব্রত মণ্ডল। দিনভর ছুটে বেড়ালেন তিনি। দফায় দফায় বৈঠকে বসলেন দলীয় নেতাদের সঙ্গে। ঘটনাস্থলেও যেতে দেখা গেল তাঁকে। এ দিন দুপুরে রামপুরহাটে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গেই ঘুরতে দেখা গেল অনুব্রতকে। সোমবার বোমা বিস্ফোরণে ভাদু শেখ নামে যে উপপ্রধানের মৃত্যু হয়েছে, তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথাও বলতে দেখা গেল জেলা সভাপতিকে। তবে যে বাড়ি থেকে ১০ টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানকার পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ কথা বললেন না তিনি। ওই প্রতিবেশীরাও অবশ্য মুখ খুলতে এতটুকুও উৎসাহী নন।
সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে। ওই হাসপাতালেই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনের চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালে গিয়ে তাঁদের চিকিৎসা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি। পরে দলে পার্টি অফিসে বসে সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হলেন অনুব্রত। গরু পাচার-কান্ডে বারবার তলব করা হলেও যে অনুব্রত অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দিচ্ছেন না, তাঁকে এ দিন কার্যত বিশ্রাম নিতেও দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন : Bagtui Massacre: ‘এক বছর পরেও ভোটপরবর্তী হিংসা অব্যাহত’, বগটুই হত্য়াকান্ডে সরব জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন
