বোলপুর: দলীয় কোন্দল থামাতে বিক্ষুব্ধদের উদ্দেশ্যে আগেই কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বলেছিলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙা কোনওভাবে সহ্য করা হবে না। দল কড়া ব্যবস্থা নেবে।” শুধু তাই নয়, বহিষ্কারেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। তবে সুকান্তর হুংকার যে মোটেই ভালভাবে মেনে নেননি বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা তা নিজের প্রতিক্রিয়ায় ব্যক্ত করলেন। বললেন, “এমন চলতে থাকলে লোকসভায় পাঁচটি সিট পাওয়াও চাপ হবে।”
অনুপম হাজরার অভিযোগ, রাজ্য বিজেপিতে উচ্চ পদে থাকা বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। নাম না করে সুকান্ত মজুমদারকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “পদটিকে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাবছেন। তাদের বোঝা উচিত এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে।” বিজেপি নেতার পরামর্শ, বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিৎ। কেন তাঁরা ক্ষুব্ধ? কী কারণে বিক্ষোভ সেই অভাব-অভিযোগ শোনা উচিত।” তিনি বলেন, “বিক্ষুব্ধরা নিজেদের অভাব অভিযোগ শোনানোর চেষ্টা করেছেন। তাদের কথা শোনা হয়নি। মানুষের ধৈর্য্যচুত্যি কখন ঘটে? যখন আবেগ দিয়ে দল করার পরও তাদের অভিযোগের কথা শোনা হয় না। এরপরই তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।”
সম্প্রতি, সল্টলেকে বিজেপির অফিসের বাইরে দলীয় কর্মী, সমর্থকদের একাংশের বিক্ষোভের দৃশ্য দেখা গিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের মূল দাবি, অমিতাভ চক্রবর্তী ও অমিত মালব্যকে রাজ্যে দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরাতে হবে। এর পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। সুকান্তর বিরুদ্ধেও স্লোগান তুললেন দলীয় কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। এরপরই রাজ্যসভাপতি সাসপেন্ডের হুঁশিয়ারি দেন। তবে তাঁর এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ অনুপম।
প্রসঙ্গত, ভোট যত এগিয়ে আসতে ততই যেন ফাটল বাড়ছে বঙ্গ বিজেপিতে। বাঁকুড়াতে খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে রাগ উগরে দেন বিজেপি কর্মীরা। অপরদিকে, বনগাঁয় আবার নাম না করে দলের উচ্চ-নেতৃত্বর বিরুদ্ধে তীর্যক মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা…। এরপর রাজ্য সভাপতির সুরে সুর না মেলাতে দেখা গেল অনুপম হাজরাকে। ফলত,