BJP: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে ‘সৈনিক’ হতে তৃণমূলে যোগদান দাপুটে বিজেপি নেতার
Birbhum: গত বিধানসভা নির্বাচনে এই বিজেপি নেতা বীরভূম জেলায় বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের মত গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন ।
বীরভূম: দলবদলের হিড়িক অব্যাহত। কখনও ভোটের আগে, কখনও বা ভোটের পড়ে দলবদল চলছেই। আর এবার বীরভূমের দাপুটে বিজেপি নেতা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টপাধ্যায় তৃণমূলে যোগদান করলেন।
বিগত কয়েকদিন ধরেই বেসুরো ছিলেন এই নেতা। ফেসবুকে দলের প্রতিটি পদ থেকে অব্যহতি নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলে তিনি। এরপর বেশ কয়েকদিন আগে বিজেপির সব হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন তিনি। আর অবশেষে দল বদলে যোগ দিলেন তৃণমূলে।
শুধু অতনু চট্টোপাধ্যায় নয়, বেশ কয়েকদিন আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন আরও এক জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভ্রাংশু চৌধুরী। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন তিনি। স্বভাবতই এই অবস্থায় জেলাজুড়ে অতনুবাবুরও তৃণমূল-যোগের জল্পনা ছিল। এরপরেই সেই জল্পনার অবসান হলো।
রবিবার বোলপুরে বীরভূম জেলা তৃণমূলের জেলা দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করলেন দাপুটে এই বিজেপি নেতা। তৃণমূলে যোগ দিয়ে অতনুবাবু বলেন, “তৃণমূলে যোগ দেওয়ার একটাই কারণ আমি অনেকদিন ধরেই দেখেছি যে বীরভূম জেলার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হত ধরে কীভাবে উন্নয়ন হয়ে এসেছে। সেই উন্নয়নে যোগ দিতেই আমি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি।”
গত বিধানসভা নির্বাচনে অতনুবাবু বীরভূম জেলায় বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের মত গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন । এমনকী তৃণমূল ও বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নামে অনেক অভিযোগও তুলেছিলেন। এরপর তিনি তৃণমূলে যোগদান করায় বীরভূম জেলায় বিজেপির ক্ষমতা আবারও হ্রাস পেল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস। এবার দিন বীরভূমের নানুরের বাসা পাড়ায় এলাকায় প্রত্যেক বছর মিলন মেলা বসে। এই মিলন মেলার উদ্বোধন করেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। প্রত্যেক বছর এই মেলাকে ঘিরে নানান উন্মাদনা দেখা যায় এলাকার মানুষের মধ্যে।
প্রতিবারই এই মেলা উদ্বোধন করার পর মেলার উদ্যোক্তা জেলা পরিষদের কর্মধক্ষ এবং ওই এলাকার বাসিন্দা কেরিম খান অনুব্রত মণ্ডলের হাতে উপহার তুলে দেন। কখন রূপোর তৈরি তরোয়াল, কখনো আবার দেওয়া হয়েছে মাথার রুপোর মুকুট। আর এই বছর অনুব্রত মণ্ডলের হাতে তুলে দেওয়া হল প্রায় সাড়ে ছয় কেজি ওজনের রুপোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূর্তি।
অন্যদিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “এক সময় এই বাসাপাড়া এলাকায় নিত্যদিন বোমা-গুলি ফাটতো। কিন্তু এখন এখানে মানুষ শান্তিতে আছে । প্রত্যেক বছর এখানে সুন্দর করে মিলন মেলা করা হয়। সে কারণেই আমি প্রত্যেক বছর আসি।”
আরও পড়ুন: Kolkata Metro: করোনার বাড়বাড়ন্ত, সোম থেকে ফের বন্ধ মেট্রোর টোকেন পরিষেবা