রামপুরহাট : বগটুই হত্যাকান্ডের (Bagtui Massacre) তদন্তে বীরভূম জেলায় অস্থায়ী ক্যাম্প করছে সিবিআই। সেই ক্যাম্প থেকেই চলবে তদন্ত প্রক্রিয়া। আনারুল-সহ ধৃত অভিযুক্তদের আজই নিজেদের হেফাজতে নেবে সিবিআই। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি পলাতক অভিযুক্তদেরও খোঁজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, বগটুইয়ের ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্রকারী কারা, কেন বাড়িগুলিতে আগুন লাগানো হল, কেন এভাবে পুড়িয়ে হত্যা করা হল, সেই সবের উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। এবার সেই তদন্তের সুবিধার জন্য বীরভূমেই একটি অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পাশাপাশি যে ২০ জন অভিযুক্তকে সিবিআই শনিবার নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে, তাদের জেরা করার প্রক্রিয়াও এই অস্থায়ী ক্যাম্প থেকেই করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
কারণ, রামপুরহাট থানায় রেখে এই অভিযুক্তদের জেরা করা কখনোই সম্ভব নয়। এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। কারণ, যেহেতু অভিযুক্তদের থানায় রাখা হচ্ছে রাতে, সে ক্ষেত্রে তারা সিবিআইকে আদৌ আসল সত্যিটা বলবে কি না, তা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করছেন। সম্ভবত সেই কারণেই সিবিআই ও সিআরপিএফের নজরদারিতে সেই অভিযুক্তদের রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে এবং সেখানেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর পাশাপাশি ডিআইজি সহ যে সিনিয়র অফিসাররা রয়েছেন, তাঁদের এই জেলা থেকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হবে। বিশেষ করে ঘটনাস্থলে বার বার যাওয়া, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করা, ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করা, হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহতদের সঙ্গে কথা বলা, গ্রামবাসী এবং যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলা – এই গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া কলকাতা থেকে পরিচালনা করাটা বেশ জটিল হয়ে যেত সিবিআইয়ের জন্য। সেই কারণেই বীরভূম জেলায় অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, এর আগে কয়লা পাচার কান্ড কিংবা গরু পাচার কান্ডের সময়েও এইভাবে অস্থায়ী ক্যাম্প করতে দেখা গিয়েছিল। সেই সময় আসানসোল ও দুর্গাপুরে অস্থায়ী ক্যাম্প করে তদন্ত চলছিল। ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তেও দেখা গিয়েছিল, রাজ্যের চারটি জায়গায় অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছিল। ঠিক তেমনি বগটুইকান্ডেও অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করছে সিবিআই। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আপাতত অভিযুক্তদের এই অস্থায়ী ক্যাম্পে রেখেই জেরা করা হবে। প্রাথমিক জেরা প্রক্রিয়ার পর সিবিআই অফিসাররা কলকাতা হাইকোর্টকে যে রিপোর্ট দেবেন, তারপর তদন্তের প্রয়োজনে তাদের কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সিজিও কমপ্লেক্সে স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের যে দফতর রয়েছে, সেখানে তাদের জেরা করা হতে পারে পরবর্তী সময়ে। তবে প্রাথমিক প্রক্রিয়া হবে এই অস্থায়ী ক্যাম্প থেকেই।
আরও পড়ুন : Bagtui Massacre: ‘বিজেপি-সিবিআই একসঙ্গে রামপুরহাটে যাচ্ছে!’ আঁতাতের গন্ধ পাচ্ছেন কুণাল ঘোষ