বীরভূম: বগটুইয়ের পঞ্চায়েত উপ প্রধান ভাদু শেখ খুনে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। সেরা শেখকে জেরা করে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র। বৃহস্পতিবার নলহাটিতে তল্লাশি চালিয়ে সেই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে বীরভূম জেলা পুলিশ। ভাদু শেখ খুনে কি আগ্নেয়াস্ত্রই ব্যবহার হয়েছে নাকি অভিযুক্ত কোনওভাবে তদন্তকারীদের বিপথে চালানোর চেষ্টা করছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ বগটুইয়ে খুন করা হয়েছে ভাদু শেখকে। তারপর সেই অস্ত্র কীভাবে পৌঁছল নলহাটিতে? কেনইবা সেখানে অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হল? ভাদু শেখ খুনে এখনও পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে ভাসান শেখ ও শেখ শফিক নামে ওই দুজনকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারী। মাড়গ্রাম আর নলহাটি থেকে গ্রেফতার করা হয় দুজনকে। জানা যাচ্ছে, ভাদুর খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল তারা। প্রসঙ্গত, বুধবারই গ্রেফতার করা হয় ৩ জনকে।
ভাদু শেখ মার্ডার কেসে পুলিশের তরফে ধৃত ৩ জনের দিনের পুলিশ হেফাজত আবেদন করা হয় রামপুরহাট আদালতে। বিচারক সৌভিক রায় ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছেন। ধৃত তিন জনের মধ্যে দুজনের নাম রয়েছে এফআইআর-এর লিস্টে , সঞ্জু শেখ আর সেরা শেখের নাম ছিল। আর সন্দেহভাজনভাবে রাজা শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে আজ বিরোধী উকিল আদালতের ভেতরে দাবি করেন, তার মক্কেলরা তদন্তে সহযোগিতা করতে চায়। তাই পুলিশ হেফাজতে কোনো আপত্তি নেই। তবে পুলিশ তাদের ওপর অত্যাচার না করে সেটা দেখতে। অন্যদিকে পুলিশ ডাইরিতে পুলিশ দাবি করেছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসবাদ করে বোমা, অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এছাড়াও এই ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজ পাওয়া যাবে। তারপরই পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
অন্যদিকে, ভাদু শেখের অনুগামী ও অগ্নিসংযোগ, ৯ জনকে কুপিয়ে,পুড়িয়ে খুনে যারা অভিযুক্ত, তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। বৃহস্পতিবারই অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সিবিআই-র নজরে এখন লালনের বাড়ির সিসিটিভি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই ক্যামেরাতেই বন্দি থাকতে পারে গণহত্যার ছবি।