বীরভূম: বগটুই হত্যাকাণ্ডে আটঘাট বেধে নেমেছেন সিবিআই তদন্তকারীরা। রবিবার বাতাসপুরে গিয়ে স্বজনহারাদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। সিবিআই-এর ডিআইজি তাঁর তদন্তকারী দলকে নিয়ে রামপুরহাট হাসপাতালে গিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। জখম অবস্থায় হাসপাতালে যে মহিলারা ভর্তি, তাঁদের সঙ্গে কথা বলবে দল। বাতাসপুরের স্বজনহারা ও জখমদের দুই বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে। সিবিআই-এর নিরাপত্তায় যে জওয়ানরা রয়েছেন, তাঁরা হাসপাতাল চত্বর ঘিরে রেখেছেন। যদিও প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছিল। যাঁরা জখম তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাহায্য করছিলেন না বলে অভিযোগ উঠছিল। হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ উঠেছিল। কারা হামলা চালিয়েছিল, কারা ভাঙচুর করেছিল,সেটা জানাটা আবশ্যক সিবিআই-এর কাছে। হামলার সময়ে কতজন ছিল, সেটা জানাটা আরও বেশি জরুরি। আর সেক্ষেত্রে জখমদের সাথে কথা বলা তদন্তের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গণহত্যার রাতে কী ঘটেছিল, তা জখমদের মুখে থেকে শুনে রেকর্ড করতে চান তদন্তকারীরা।
সিবিআই ডিআইজি আদৌ জখমদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন কিনা, সেটাই দেখার। এদিকে, বগটুইয়ে সোনা শেখের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে হাঁসুয়া, শাবল। হাঁসুয়া দিয়েই কুপিয়ে খুন বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক টিম। এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ১১ জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।
ঘটনার দিন ঠিক কী হয়েছিল, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ চায় সিএফএসএলে-র টিমও। ‘থ্রি ডি স্ক্যানার’ ব্যবহার করে প্লেস অফ অকারেন্স অর্থাৎ ঘটনাস্থলে পুনর্নির্মাণ করা হবে। সিবিআই-এর স্ক্যানারে রয়েছে শীর্ষ পুলিশ কর্তারা। তদন্তকারীরা দেখছেন, আগুন লাগার পর পুলিশের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? ঘটনার পর ফোনে পুলিশ কর্তারা কাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: CBI In Bagtui: দলা পাকানো মাংস, পুড়ে যাওয়া সব জিনিসের মধ্যে থেকেই উদ্ধার হল সেই হাঁসুয়া-শাবল!