বোলপুর: বাড়ির এক বউয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। ছোট জা-কে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন বড় জা। আর তাতেই বোলপুরের রজতপুরে ফিরে আসে বগটুইয়ের স্মৃতি। ভাসুর শেখা তোতা(৩৮), জা রূপা বিবি ও তাঁদের ছোট্ট সন্তানকে বদ্ধ ঘরে জ্বালিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে বাড়িরই ছোট বউ স্মৃতি বিবির বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনার তাঁর সঙ্গ দিয়েছিলেন প্রেমিক পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক সফিকূল ইসলাম। কীভাবে খুনের পরিকল্পনা। পুলিশি জেরায় উঠে এসেছে রোমহর্ষক ঘটনার বিবরণ।
বোলপুরের পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘটনার রাতে স্মৃতি বিবি কন্টেনারে ক্লোরোফর্ম এনে বাড়িতে রেখেছিলেন আগের থেকেই। সন্ধ্যায় পূর্ব পরিকল্পনা করেই তাঁর জা রূপা বিবির সঙ্গে একটি বিয়ের সম্বন্ধের জন্য কথাবার্তা বলতে এসেছিলেন স্মৃতির প্রেমিক সফিকূল ইসলাম। তখনই স্মৃতি বিবির সঙ্গে ‘অপারেশনের’ আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে নেন।
জেরায় জানা গিয়েছে, এরপর গভীর রাতে স্মৃতি বিবি অপেক্ষা করতে থাকেন হাতুড়ে ডাক্তার আসার জন্য। পরবর্তী ক্ষেত্রে জানালা দিয়ে প্রথমে কন্টেনারের ক্লোরোফর্ম ঘরের মধ্যে ঢেলে দেওয়া হয়। কেরিমা বিবি ও তাঁর স্বামী-সন্তান যখন অচৈতন্য হয়ে পড়েন, তখন পেট্রোল ঢেলে দেওয়া হয় ঘরে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যতক্ষণে তাঁদের জ্ঞান ফেরে, ততক্ষণে শরীরের ৭০-৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে তাঁদের। পুলিশ মনে করছে, আগুন লাগার পর যাতে তাঁরা কেউ চিৎকার করতে না পারেন, তাঁর জন্যই আগে অজ্ঞান করে নেওয়া হয়েছিল তাঁদের। যেহেতু সফিকূল পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক, তাই সহজেই ক্লোরোফর্মও পেয়ে যান।
বোলপুরের রজতপুরের ঘটনায় স্মৃতি বিবি ও তাঁর প্রেমিক সফিকূলকে গ্রেফতার করেছে।