বীরভূম: গাড়ি ভর্তি তুষের বস্তা। দৃশ্য়ত কারোর সন্দেহ হওয়ার কথাও ছিল না। কিন্তু দুঁদে পুলিশ কর্তাদের সন্দেহ তাতে এড়ায়নি। তাঁরা ঠিক বুঝতে পেরেছিলেন, কোথায় কী থাকতে পারে! তুষের বস্তার আড়ালে কয়লা পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল অভিযুক্তরা। বীরভূমের সদাইপুরে কয়লাপাচার চক্রের পর্দাফাঁস। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই গাড়ির চালক ও খালাসিকে। দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় কয়লা পাচারের অভিযোগ উঠছিল। স্থানীয় বাসিন্দা ও খোচরদের কাছ থেকেও খবর পাচ্ছিলেন পুলিশ কর্তারা। কিন্তু হাতেনাতে তাদের ধরা যাচ্ছিল না। গত কয়েকদিন ধরে গোপনে ওঁত পেতে বসেছিলেন পুলিশকর্তারা। অবশেষে জালে পাচারকারি।
শনিবার মাঝরাতে সদাইপুর থানার পানুরিয়া এলাকা দিয়ে একটি তুষের গাড়ি যাচ্ছিল। পানুরিয়ার গ্রামের রাস্তা থেকে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কে উঠতেই গাড়িটিকে দাঁড় করান সদাইপুর থানার পুলিশকর্তারা। গাড়িতে চালক ছাড়া ছিলেন খালাসি। গাড়ি ভর্তি ছিল তুষের বস্তা। রুটিন তল্লাশির নামে গাড়িটিকে দাঁড় করান কর্তব্যরত পুলিশ কর্তারা। তাঁরা প্রথমে চালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সূত্রের খবর, চালক প্রথমে কথায় কায়দায় পার পেয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পুলিশ কর্তাদের একাধিক প্রশ্নে কিছুটা ঘাবড়ে যান তিনি। তারপরই তুষের বস্তা গাড়ি থেকে নামান পুলিশ কর্তারা। তাঁরা দেখতে পান, টনটন কয়লা ওই বস্তার আড়ালে পাচার করা হচ্ছিল।
পরে এই কয়লা বোঝাই গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে চালক ও খালাসিকে। সদাইপুর থানার ওসি মিকাইল মিঞার নেতৃত্বে বাহিনী এই অভিযান চালায়। দুই জন অভিযুক্তকে সিউড়ি আদালতে পেশ করা হয়। এই কয়লা পাচার চক্রের চাঁই কে, এই পাচারচক্রের সঙ্গে কারা কারা জড়িত, তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।