Bolpur: জেলা পরিষদের নামে ছাপানো স্লিপ দিয়েই চলত টোল কিয়স্ক? ভেঙে বন্ধ করে দিল জেলা প্রশাসন

TV9 Bangla Digital | Edited By: সোমনাথ মিত্র

Aug 25, 2022 | 4:21 PM

Bolpur news: বোলপুরের শিবতলা এলাকায় একটি টোল কিয়স্ক ছিল। মঙ্গলবার সেই টোল কিয়স্কটি ভেঙে বন্ধ করে দিল জেলা প্রশাসন। সূত্রের খবর, এই টোল কিয়স্ক থেকে দিনে পাঁচ থেকে আট লাখ টাকা আদায় হত।

Bolpur: জেলা পরিষদের নামে ছাপানো স্লিপ দিয়েই চলত টোল কিয়স্ক? ভেঙে বন্ধ করে দিল জেলা প্রশাসন
এই ধরনের স্লিপ ব্যবহার করা হত টোলে

Follow Us

বোলপুর : কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে এখন বীরভূম জেলা। গরুপাচার মামলায় তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারির পর সিবিআই তৎপরতা আরও বেড়েছে বীরভূমে। এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর বোলপুরে হানা দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরাও। এমন পরিস্থিতিতে জেলায় বেশকিছু টোল আদায়ের কিয়স্ক ভাঙতে শুরু করেছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। অভিযোগ উঠছে, ওই সব টোল কিয়স্কগুলি চালাতেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। বোলপুরের শিবতলা এলাকায় একটি টোল কিয়স্ক ছিল। মঙ্গলবার সেই টোল কিয়স্কটি ভেঙে বন্ধ করে দিল জেলা প্রশাসন। সূত্রের খবর, এই টোল কিয়স্ক থেকে দিনে পাঁচ থেকে আট লাখ টাকা আদায় হত।

বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে গোটা বীরভূম জেলা এমন প্রায় চল্লিশটির আশপাশে টোল কিয়স্ক রয়েছে। প্রসঙ্গত বীরভূম জেলায় বিভিন্ন বালির ঘাট রয়েছে, বিভিন্ন পাথরের খাদান রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু অবৈধ বলেও অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে এই এলাকা দিয়ে প্রচুর ট্রাক যাতায়াত করে। পাশাপাশি গরুপাচারের যে অভিযোগ উঠছে, সেই সব ক্ষেত্রেও যদি ট্রাক ব্যবহার করা হত, সেগুলিও চলাচল করত। এমন পরিস্থিতিতে জেলায় বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় বাঁশ, কপিকল লাগিয়ে টোল তৈরি করে টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বোলপুরের শিবতলা এলাকায় যে টোলটি ভাঙা হয়েছে, সেখানে বীরভূমে জেলা পরিষদের নাম করে টাকা তোলা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেখান থেকেও বেশ কিছু স্লিপ দেখা গিয়েছে। সেখানে ছাপানো হরফে লেখা রয়েছে বীরভূম জেলা পরিষদ। সঙ্গে টাকার অঙ্কও লেখা। দশ টাকা।

এদিন যে টোল কিয়স্কটি ভাঙা হয়েছে সেটি বোলপুর শিবতলা এলাকায় চৌমাথায় রাস্তার মোড়ে নীল-সাদা রঙের একটি ঘর। ভিতরে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নিয়ে বসে থাকা হত। কাচের দেওয়াল ছিল। জানা গিয়েছে, এমন টোলগুলি থেকে কোথাও জেলা পরিষদের টোল, কোথাও লেখা পুরসভা, কোথাও লেখা পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি। ১০, ২০, ৩০, ৫০, ৬০, ১১০, ১৫০ এমনকী ২০০ টাকা পর্যন্ত ছাপানো স্লিপ ব্যবহার হত।

টোল ভাঙার বিষয়ে বোলপুর মহকুমা শাসকের কার্যালয়েও পৌঁছে গিয়েছিল টিভি নাইন বাংলা। মহকুমা শাসকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, টোল ভাঙার জন্য তিনি যাননি। প্রশাসনের অন্য কেউ গিয়ে থাকতে পারেন। তবে বেআইনি কিছু বলে ভাঙা হতেই পারে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মহকুমা শাসকের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি বলেই জানান তিনি।

Next Article