Birbhum: বাংলা বলায় অপরাধ? বীরভূমের দানিশকে ঠেলে দেওয়া হল বাংলাদেশে
Birbhum: মমতার অভিযোগের পর রাজ্য পুলিশ বেশ কয়েকজন বাঙালিকে উদ্ধার করেছিল। কিন্তু সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একটি পুশব্যাকের অভিযোগ। এবার সরাসরি দিল্লি থেকে পাঠানো হল বাংলাদেশে।

দিল্লি: ফের পুশব্যাক। হিসাব সোজা, বাংলা বললেই তাদের কাছে এনারা হয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশি। এই পুশব্য়াক প্রসঙ্গে আগেই সরব হয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বিভিন্ন রাজ্যে বাংলা থেকে কাজ করতে যাওয়া ভারতীয় নাগরিকদেরই বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
মমতার অভিযোগের পর রাজ্য পুলিশ বেশ কয়েকজন বাঙালিকে উদ্ধার করেছিল। কিন্তু সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একটি পুশব্যাকের অভিযোগ। এবার সরাসরি দিল্লি থেকে পাঠানো হল বাংলাদেশে।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের পাইকর এলাকার এক বাসিন্দাকে বিএসএফ-র সঙ্গে যোগাযোগ করে পাঠানো হল বাংলাদেশে। ওই ব্যক্তির নাম দানিশ শেখ। পেশায় একজন পরিযায়ী শ্রমিক। দিল্লিতে রোহিনী কারজু মার্গ এলাকার একটি বস্তিতে পরিবার নিয়ে থাকত সে। এবার সেই পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে যথাযথ নথি না দেখাতে পারার অভিযোগে তুলে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। তারপর সরাসরি ‘পুশ ব্যাক টু বাংলাদেশ’।
পরিবারের অভিযোগ, গত ১৭ই জানুয়ারি তাদের গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। এরপর ২৬ জুন বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দানিশ-সহ এক শিশু ও পরিবারের পাঁচ সদস্যকে। যার জেরে উদ্বিগ্ন পরিবারের বাকি সদস্যরা। ইতিমধ্যে তারা যোগাযোগ করেছে বীরভূম পুলিশের সঙ্গে। দানিশ-সহ বাকিদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য় আবেদনও জানিয়েছে তারা।
এদিন দানিশের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছে, ‘আমার মেয়ে-জামাই-সহ অনেককেই ধরে নিয়ে চলে গিয়েছে। বাংলা বললেই এমন করছে। আমরা সব পরিচয়পত্র দেখিয়েছিলাম।’ গোটা ঘটনায় সরব হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্যমঞ্চও। সংগঠনের সম্পাদক আসিফ ফারুক বলেন, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটছে। পুলিশ রীতিমতো বিচারকের ভূমিকায় কাজ করছে। বাংলায় কথা বলা অপরাধে পরিণত হয়েছে্। দ্রুত ভারত সরকার এদের ফিরিয়ে আনুক এটাই আমাদের আবেদন।’

