Anubrata Mondal Arrested: আসন্ন নির্বাচনে হাওয়া বদলের চেষ্টায় মরিয়া বিজেপি, বীরভূম কেষ্ট-হীন হতেই ঘন-ঘন সভা পদ্মশিবিরের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Sep 04, 2022 | 7:32 AM

Birbhum: অনুব্রত গ্রেফতারের পর গত এক মাসে বীরভূমে সভা করেন জেলা বিজেপির তাবড়-তাবড় নেতৃত্ব। তার মধ্যে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতৃত্ব।

Anubrata Mondal Arrested: আসন্ন নির্বাচনে হাওয়া বদলের চেষ্টায় মরিয়া বিজেপি, বীরভূম কেষ্ট-হীন হতেই ঘন-ঘন সভা পদ্মশিবিরের
কেষ্ট-হীন বীরভূমে একাধিক সভা বিজেপির (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

বীরভূম: ওয়ান ম্যান আর্মি-র বীরভূম এখন কার্যত বেতাজ বাদশাহীন। দলের দক্ষ সংগঠক এখন জেলে। কেষ্টর গ্রেফতারিতে বীরভূমে দলের মধ্যে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। দল এখনও কিছুটা অগোছাল, কিছুটা দিশাহীন। এই অবস্থায় বিরোধীরা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে মরিয়া। তারপর সামেন পঞ্চায়েত ভোট। তাই লাল মাটির জেলায় নিজেদের ঘাঁটি গাড়তে ময়দানে নেমেছে বিজেপি।

নির্বাচন সামনে এলেই কখনও গুড়-বাতাসা,কখনও নকুলদানা, কখনও চড়াম চড়াম দাওয়াই বিরোধীদের জন্য শোনা যেত কেষ্টর গলায়। ভোটের সময় ভুরি-ভুরি অভিযোগ আসত জেলা থেকে। কখনও মনোনয়ন জমা দিতে না পারা, কখনও ‘জোর’ করে জেলা পরিষদের সব আসন দখল করার মতো একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের সময় অন্যান্য জেলাতে ভাল ফল করলেও বীরভূমে দাঁত ফোটাতে পারেনি পদ্ম-শিবির। সম্পূর্ণ বিরোধী-শূন্য থেকেছে লালমাটির জেলা। এরপর গত ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে বীরভূমের ১১টি আসনের মধ্যে একমাত্র দুবরাজপুর বিজেপির দখলে গিয়েছিল। পুরভোটেও জেলার ৬টি পুরসভার সবগুলিতেই বোর্ড দখল করেছে তৃণমূল।

এ দিকে, অনুব্রতর গ্রেফতারির পরই বীরভূমের বিজেপি নেতাদের দাবি, পুলিশের মদতেই এতটা বাড়-বাড়ন্ত কেষ্টর। বীরভূম বিজেপি জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘বিজেপি অনুব্রতকে কিছুই ভাবে না। আমরা ২০১১ সালের আগে ওনাকে দেখেছি। পুলিশ প্রশাসনের একটা অংশকে কাজে লাগিয়ে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনুব্রত মণ্ডল হয়েছেন।যা কিছু হয়েছে পুলিশের একটা অংশকে সঙ্গে নিয়ে। ‘

বিরোধীদের অভিযোগ, ২০১১ সালের পর থেকে অনুব্রত মণ্ডলের অত্যাচারে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু কেষ্ট জেলে যেতেই রাতারাতি পাল্টে যায় বীরভূমের রাজনৈতিক সমীকরণ। বিরোধীদের দাবি, কেষ্ট বিরোধীরা তো বটেই, সাধারণ মানুষও কেষ্ট-কীর্তির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তাকেই হাতিয়ার করে বীরভূমে হাওয়া বদল করতে মরিয়া বিজেপি।

অনুব্রত গ্রেফতারের পর গত এক মাসে বীরভূমে সভা করেন জেলা বিজেপির তাবড়-তাবড় নেতৃত্ব। তার মধ্যে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতৃত্ব। তাই আসন্ন নির্বাচনে এর ফলাফল কী হয় এখন সেইটাই দেখার।

Next Article