বোলপুর: অনুব্রতর চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারির বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। মণীশ দীর্ঘদিন ধরে অনুব্রতর বেআইনি টাকার লেনদেনের হিসেব রাখতেন বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ। বোলপুরের শ্রীনিকেতন রোডে মণীশের বাড়িতে বুধবার সাতসকালেই হাজির হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, মণীশের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে কিছু নথিপত্র।
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৭.১৫ মিনিট। মণীশ কোঠারির বাড়িতে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। বেল বাজালে এক জন এসে দরজা খোলে। কয়েকটি কথা বলে ভিতরে ঢোকেন আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, মণীশ তখন ঘুমোচ্ছিলেন। তাঁকে ডেকে তোলা হয়। তারপর তাঁর সামনেই চলে বাড়িতে খানাতল্লাশি। বাড়ির সামনে তখন ভিড় করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের কাছ থেকে কোনও একটি সূত্র মিলেছে। তার ভিত্তিতেই চলছে তল্লাশি।
সকালে প্রথমে এক আধিকারিক আসেন মণীশের বাড়িতে। তিনি বেশ কিছুক্ষণ মণীশের বাড়িতে ছিলেন। তারপর তাঁকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। আবারও কিছুক্ষণ পর তিনিই ফের মণীশের বাড়িতে আসেন। উল্লেখ্য, মণীশের পাশাপাশি এদিন সিবিআই আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, দু’জায়গার তথ্য মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখ্য, মণীশ কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, তিনি আলাদা পেশার সঙ্গে যুক্ত। তবে তাঁর সঙ্গে অনুব্রত-যোগ কীভাবে? সিবিআই কি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গিয়েছে? নাকি তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালালে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, নথি মিলতে পারে? প্রশ্নগুলো থেকেই যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, মণীশই হচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রধান পরামর্শদাতা। তাঁর ব্যবসার নিয়োগ-বিনিয়োগ, অনুব্রতর মেয়ের নামে যে কোম্পানিগুলো রয়েছে, তার বিনিয়োগ-সবটাই হত তাঁর পরামর্শেই। অনুব্রত মণ্ডলের নামে-বেনামে সম্পত্তির দেখভাল করতেন তিনি।
ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটক করেছে সিবিআই। তাঁকে অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হচ্ছে। এদিন, বোলপুরের ব্যবসায়ী সুজিত দে, বিশ্বজ্যোতি ঘনিষ্ঠ সুদীপ রায়ের বাড়িতেও তল্লাশি চলছে। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য সব এক জোট করে মিলিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।