বোলপুর: বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল নাবালিকা। বিগত পাঁচদিন পর অবশেষে উদ্ধার হল কিশোরী। তবে পুলিশের অনুমান তন্ত্র সাধনার জন্যই অপহরণ করা হয়েছিল বোলপুরের ওই নাবালিকাকে। শনিবার রাত্রিবেলা তারাপীঠের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। গত মঙ্গলবার বোলপুরের তাতালপুর কলোনি থেকে নিখোঁজ হয় নাবালিকা। অভিযোগ পাওয়ার পর ছয়টি টিম গঠন করে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এরপরই গতকাল রাতে তার পিসির কাছে থেকে উদ্ধার হয় মেয়েটি।
তবে নাবালিকাকে কী উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল? কবে নিয়ে গিয়েছিল? কেন ওই মহিলা তার ভাইকে জানালেন না মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়ার সময় এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জেরা করা হচ্ছে মহিলাকে।এই বিষয়ে বোলপুরে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বোলপুর সুরজিৎ কুমার দে। তিনি জানিয়েছেন, ওই নাবালিকার পিসি তন্ত সাধনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
এই নাবালিকাকে তন্ত্রসাধনার জন্যই সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কি না সেই প্রশ্নের জবাব উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। পুলিশ জানাচ্ছে এই ধরনের কাজ এখনো মাঝেমধ্যেই হয়। ফলে এই ধরনের কাজের জন্য অপহরণ করা হয়ে থাকলেও থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতার তিলজলায় নাবালিকা খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনাতেও উঠে আসে তন্ত্র যোগ। সাতবছরের শিশুখুনের ঘটনায় ধৃত অভিযুক্ত পুলিশকে জানায় যে এক তান্ত্রিকের নিদান ছিল নবরাত্রির সময়ে কোনও শিশু বলি দিলে ধৃতের বাড়িতে সন্তান আসবে। আর সন্তান লাভের আশায় এমন নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। পুলিশি জেরায় তা কবুলও করেছেন অভিযুক্ত। যেদিন থেকে পুলিশ তান্ত্রিক যোগের কথা জানতে পেরেছ, ঠিক সেই দিন থেকেই ওই তান্ত্রিকের খোঁজে ময়দানে নেমে পড়েছে তারা। তবে শিশুমৃত্যুর ঘটনার দু-তিনদিন কেটে গেলেও এখনও অবধি কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তারপরই ধৃতের বয়ানের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয় পুলিশের।